ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আধুনিক প্রযুক্তির জন্য সম্মিলিত কাজের তাগিদ পলকের

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
আধুনিক প্রযুক্তির জন্য সম্মিলিত কাজের তাগিদ পলকের

ঢাকা: আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে সম্মিলিত কাজের তাগিদ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহকে একত্রে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ‘গ্লোবাল এন্টারপ্রেইনিয়রশিপ কংগ্রেস-২০১৯’ এর ‘স্টার্টআপ নেশনস মিনিস্ট্রিয়াল’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তৃতাকালে পলক এ আহ্বান জানান। বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন।

 
 
পলিসি সেশন আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উদ্ভাবন পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, হাই-টেক পার্ক প্রকল্প ও ইনোভেশন সেন্টার প্রকল্প স্থাপন, আইটি প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা অর্জন এবং তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অর্জন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। আগামী দিনের পরিবর্তিত ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হলে উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহকে সম্মলিতভাবে কাজ করতে হবে।  

ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প-২০২১’ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই চারটি স্তম্ভ হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্ন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে বিগত দশ বছরে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বিগত তিন বছরে সব সরকারি অফিসকে ইন্ট্রা-নেটওয়ার্ক এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সারাদেশকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে।

২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের ওয়াইফাই (উইমেন আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিশিয়েটিভ) প্রকল্প চালু রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
 
তিনি জানান, লার্নিং-আর্নিং, শি পাওয়ার, এলআইসিটি, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় প্রশিক্ষণ, আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন- এসব প্রকল্পের আওতায় অনেক তরুণ তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে দেশে তিন লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইটালি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, আর্জেন্টিনা, বেনিন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, গ্রানা, হাঙ্গেরিসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকরি প্রতিনিধিরা এই সম্মেলন অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।