ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনালে যাচ্ছে সিয়ামের দল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনালে যাচ্ছে সিয়ামের দল স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপের বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্ব তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপ ফাইনালের মূল আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতা করবেন ইশতিয়াক সিয়াম ও তার দল। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয়েছেন সিয়াম, ফয়সাল কবির, জুনায়েদ আল হাসান এবং বিনয় রায়ের স্টার্টআপ ‘রেপ্টর’। ১৭ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে রেপ্টর।

শনিবার (০৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেঙ্গল স্টুডিওতে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপের বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্ব আয়োজিত হয়। সফটওয়্যার ও আইটি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ই-জেনারেশন’ এর উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই পর্বের আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ‘ই-লার্নিং’ বিষয়ক সৃজনশীল আইডিয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় রেপ্টর। এছাড়াও প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয় যথাক্রমে স্মার্টফোন ভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ এবং সোলার বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করা সোল শেয়ার

চূড়ান্ত পর্বে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনোফ্লেকসন ভেঞ্চারের পার্টনার তানভীর আলি, সহজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির, আইপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, ই-জেনারেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগে আমরা কামলাগিরি করেছি। ব্যবসা বলতে মনে করেছি, বিদেশ থেকে কম্পিউটার ও কম্পিউটার পার্টস এনে, এখানে দোকান খুলে সেগুলো বিক্রি করা। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই উদ্ভাবনের দিকে এগিয়েছি। নতুন নতুন আইডিয়া সৃষ্টি করছি আমরা। তবে আমাদের ছেলেরা যে স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের শুরুতেই বাধা পায় বিনিয়োগ নিয়ে। সামান্য একটা প্রোটোটাইপ বানাতে অর্থ পায় না আমাদের ছেলেমেয়েরা।

এসময় দেশীয় বিনিয়োগকারীদের দেশীয় স্টার্টআপে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা সব কিছুতে বিনিয়োগ করতে রাজি। কিন্তু ছেলেমেয়েদের ওপর বিনিয়োগ করতে রাজি হন না। অথচ বিনিয়োগ করতে হবে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধার ওপর; স্বপ্নের ওপর।

এসময় প্রতিযোগিতার মডারেটর এবং ই-জেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছেন। কিন্তু দেশীয় স্টার্টআপগুলোতেই দেখি দেশীয়দের বিনিয়োগ নেই। ই-জেনারেশন এবং ফেনক্স এই সুযোগটিই এদেশে নিয়ে এসেছে স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের মাধ্যমে। এটা একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে স্টার্টআপ, বিনিয়োগকারীরা এবং সব স্টেক হোল্ডাররা এক সঙ্গে হতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নব সৃষ্টিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

বাংলাদেশ পর্বের এবারের আসরে প্রাথমিকভাবে ৮৬টি স্টার্টআপ আবেদন করে। এদের মধ্যে ৩৬টি স্টার্টআপকে তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্য থেকে ১০টি স্টার্টআপ নিয়ে আয়োজিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। শীর্ষ দশের বাকি স্টার্টআপগুলো হলো যান্ত্রিক, জো-বাইক, হেলো টাস্ক, হান্ডি মামা, জেমস ক্লিপ, গেজ টেকনোলজি এবং আমার আস্থা।

স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ডকাপের মূল আসরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিজয়ী হওয়া আরও ৩৮টি স্টার্টআপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে রেপ্টর।

প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ী স্টার্টআপ ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের পক্ষ থেকে পাবে এক মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।