ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সন্তানদের বাসযোগ্য আবাসভূমি দিতে পেরেছি: জব্বার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
সন্তানদের বাসযোগ্য আবাসভূমি দিতে পেরেছি: জব্বার হাইটেক পার্ক আয়োজিত আলোচনা সভা বক্তব্য রাখছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা পরবর্তী প্রজন্মকে বাসযোগ্য আবাসভূমি দিয়ে গেছেন। আর এই অর্জন প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৌরবের বিষয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বুধবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলাম তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন যে, এই মুক্তিযুদ্ধ করে কী হবে। তার উত্তর আমরা দেশ স্বাধীনের মাধ্যমে দিয়েছিলাম।

আমরা আমাদের সন্তানদের বাসযোগ্য আবাসভূমি দিয়ে যেতে পেরেছি। আমাদের জন্য, প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার জন্য এটি একটি গৌরবের বিষয়।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, পৃথিবীতে যত উন্নত রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে তার মধ্যে আধুনিকতম হচ্ছে ভাষার ভিত্তিতে গঠিত রাষ্ট্র। আজ রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে তারা মৌলবাদকে প্রাধান্য দিয়েছে। আর আমরা মৌলবাদকে সফলতার সাথে কঠিন হাতে মোকাবেলা করেছি। আমরা ডিজিটাল হওয়ার দিকে গুরুত্বারোপ করেছি। আজ আধুনিক বাংলাদেশের কথা উঠলে, ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উঠলে সবার আগে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কথা ওঠে, আইসিটি ডিভিশনের কথা ওঠে।

তবে স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরের কাছে এসেও আমরা স্বাধীনতার সঠিক মূল্যবোধ ধারণ করতে পারিনি বলেও মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার। একই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা থেকেও আমরা দূরে আছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে আলাদা করা যায় না। তারা এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুকে জানলে বাংলাদেশকে জানা যাবে। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপরেখা তৈরি করে কাজ শুরু করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। তিনি বলেন, পাকিস্তান যে কত নির্মম জাতি তা অনেকেই জানি না। অন্ধ বিশ্বাস পাকিস্তানের মধ্যে এক জন্তু তৈরি করেছিলো। সেই জন্তু আমাদের কুড়ে কুড়ে খেয়েছে দীর্ঘদিন। তারা এতটাই নির্মম যে, মুসলমান হয়েও ফিলিস্তিনে পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে।  

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করে স্বাধীনতা পদকজয়ী এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, সে সময় প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষকের সন্তান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র জাতি যাদের যোদ্ধাদের অস্ত্রের শক্তির চেয়ে মনোবল ছিল সব থেকে বেশি। একজন যোদ্ধা শহীদ হলে তার জায়গায় আরও ৩০ জন এসে যোগ দিতো।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সাথে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণআন্দোলন, স্বাধীনতার ঘোষণা এই সবকিছুর গুরুত্ব অপরিসীম। আর এমন স্বাধীন বাংলাদেশকে আইসিটি দিয়েই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।