ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাজেটে অনলাইন ব্যবসায় সুবিধা চায় ই-ক্যাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
বাজেটে অনলাইন ব্যবসায় সুবিধা চায় ই-ক্যাব প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ কার্যকরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট দেশের ব্যবসাক্ষেত্রের ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে। পাশাপাশি ই-কমার্স শিল্পপ্রতিষ্ঠায় ‘মাইলফলক’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

একইসঙ্গে ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে আগামী বাজেটে কর অব্যাহতি চায় সংগঠনটি।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ক্রেতারা যেন অনলাইনমুখী হতে পারেন এবং অনলাইনে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেজন্য বাস্তবে দোকান থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকেন, তবে তাদেরকেও যেন কর অবকাশ ‍সুবিধার অওতায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও বলেন, অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে ই-ক্যাব প্রথমে ই-কমার্স নীতিমালার খসড়া তৈরি করে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে জমা দিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়। এরপর সম্প্রতি এটি বাস্তবায়নের নিরিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও সেল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। যেহেতু এই খাতটির প্রযুক্তি ও বাণিজ্য দুইখাতেই সমান গুরুত্ব রয়েছে। সেজন্য আমরা আশা করছি, এখানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে কতটুকু দায়িত্ব বাস্তবায়ন করবে অচিরেই তা সুস্পষ্ট করা হবে।

গেজেট আকারে প্রকাশিত ই-কমার্স নীতিমালা-২০১৮ দেশীয় উদ্যোক্তাদের ‘সুরক্ষাকবজ’ উল্লেখ করে শমী কায়সার বলেন, গেজেটে বাংলাদেশি কোম্পানি ও অনুরূপ বিদেশি কোম্পানি সমতাভিত্তিক মালিকানা ব্যবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ নির্দেশনা রয়েছে। এটি দেশের ই-কমার্স খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বাজেটে ই-ক্যাবের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তিনি ‘অনলাইন পণ্য ক্রয়’ এর বর্তমান ব্যাখ্যা পরিবর্তন করে ‘অনলাইন পণ্য বিক্রয়’র ক্ষেত্রে গেজেটের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্তের জোর দাবি জানান।

আয়কর ব্যবস্থা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, যেসব কোম্পানি শুধুমাত্র ই-কমার্স কোম্পানি হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং লোকসান পর্যায়ে আছে তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম করহার মোট আয়ের ০.১ শতাংশ এবং যারা পরিচালনাগত ‍মুনাফা করছে তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০.৩ শতাংশ করা হলে উদ্যোক্তারা এই খাতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। কার্যত তখনই এই নীতিমালার সুফল পাওয়া যাবে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ই-ক্যাব এর পরিচালক নাসিমা আক্তার নিসা, আশিষ চক্রবর্তী, মো. শাহাব উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক, অনলাইন মার্কেট প্লেস দারাজ এর স্ট্রাটেজি প্লানিংয়ের প্রধান এহতেশাম হোসাইনসহ দেশি ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।