ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিশুদের স্মার্টওয়াচ ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলো ইইউ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
শিশুদের স্মার্টওয়াচ ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলো ইইউ

ঢাকা: নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ এক ধরনের স্মার্টওয়াচ ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইনক্স ব্র্যান্ডের এসব স্মার্টওয়াচ মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিক্রিত ডিভাইসগুলোও ফেরত নিতে বলেছে ইইউ।

ইইউ বলছে, ইনক্স ব্র্যান্ডের ‘সেফ কিড ওয়ান’ ব্র্যান্ডের এ স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে আততায়ী শিশুর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। যোগাযোগ করতে পারবেন শিশুর সঙ্গে।

এমনকি শিশুর অজান্তে তার স্মার্টওয়াচ দিয়ে অন্য ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবে। বিষয়টিকে নিরাপত্তার জন্য ‘গভীর হুমকিস্বরূপ’ বলছে কমিশন।
 
পুরো ইউরোপ জুড়ে জারি করা এক সতর্কতায় কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ডিভাইসটি ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি একটি ডিভাইস থেকে তার পছন্দের যেকোন নম্বরে ফোন করতে পারবে; যা হয়তো ওই শিশু জানতেও পারবে না। এছাড়া ‌ওই ব্যক্তি কোনো শিশুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এমনকি জিপিএস-এর মাধ্যমে শিশুর অবস্থানও জানতে পারবেন।
 
ইতিমধ্যে মার্কেট থেকে ওই স্মার্টওয়াচ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ইইউ। একই সঙ্গে যারা এসব ডিভাইস ইতিমধ্যে কিনেছেন তাদের কাছ থেকেও ডিভাইসগুলো ফেরত নিতেও বলা হয়েছে সতর্ক বার্তায়।

তবে ইউনিয়নের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অতিরিক্ত’ বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানিয়েছে ইনক্স। ইনক্সের প্রতিষ্ঠাতা ওলে অ্যান্তন বেলতভেদ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইইউ যে ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করেছে সেগুলো পুরনো ভার্সনের হওয়ায় বাজারে এমনিতেই আর বিক্রি হয় না। বরং নতুন যে মডেলগুলোর বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো নতুন ভার্সনের যা জার্মানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন দিয়েছিল।
 
ডিভাইসটির বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বেলতভেদ বলেন, তারা এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এ সিদ্ধান্ত বদলের জন্য আপিল করা হবে।
 
ইনক্সের পক্ষ থেকে যাই বলা হোক না কেন, তাদের ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য চুরি হতে পারে বলে মনে করছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও। ডিভাইসটিতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন অর্থাৎ দুই প্রান্তে তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষিত না থাকায় স্মার্টওয়াচটির মাধ্যমে নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে মতামত স্মার্টওয়াচ বিশেষজ্ঞদের।
 
স্মার্টওয়াচকে ‘স্পাইং ডিভাইস’ আখ্যা দিয়ে ২০১৭ সালে শিশুদের জন্য স্মার্টওয়াচ নিষিদ্ধ করেছিলো জার্মানি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসএইচএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।