ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জোরেশোরে চলছে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
জোরেশোরে চলছে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজ বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীতে জোরেশোরে চলছে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের নির্মাণ কাজ। মহানগরের শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার দুই দশমিক তিন শূন্য একর জায়গাতে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি। ২০২১ সাল নাগাদ নভোথিয়েটার ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে নভোথিয়েটারের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে নভোথিয়েটারের চারতলা বিশিষ্ট অফিস ব্লকের নির্মাণকাজ চলছে। এরই মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সারি করা পিলার।

চলছে মাটি ভরাটের কাজও। ভরাটকাজ শেষ হলেই নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩৯ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের প্ল্যানেটোরিয়াম ব্লকের নির্মাণকাজ শুরু করবে।

গণপূর্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ধাপে চলছে নভোথিয়েটারের নির্মাণ কাজ। প্রথম ধাপে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমেই অফিস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এরপর নভোথিয়েটারের গম্বুজ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। তারপর অ্যালুমিনিয়ামের দু’টি ডোম নির্মাণ করা হবে। সবমিলিয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২২২ কোটি টাকা। এরমধ্যে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা।  

আর গণপূর্ত অধিদফতর কেবল এ প্রকল্পটির অবকাঠামো নির্মাণেরই দায়িত্ব পেয়েছে। এছাড়া এর বিভিন্ন প্রযুক্তি স্থাপনের কাজটি করবে খোদ নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টের সিস্টেমযুক্ত প্ল্যানেটোরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার, টেলিস্কোপ, কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ নানা সুবিধা থাকবে। ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন হবে নভোথিয়েটারে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন। মূলত এরপর থেকেই নভোথিয়েটারের স্বপ্নযাত্রা শুরু।

জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বাংলানিউজকে জানান, ২২২ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয় ধরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহী স্থাপন’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলো করপোরেশন।  

এটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৫-২০১৮। কিন্তু পরে এটি পেছায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি গণপূর্ত অধিদফতর বর্তমানে বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি ২০১৫ সালের আগস্টে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পায়। ওই বছরের ডিসেম্বরেই একনেকে ওঠে। পরে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় পাস হয় প্রকল্পটি।

আশরাফুল হক জানান, বিশেষত মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করা, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট কুসংস্কার দূর করতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনাও আছে। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক নাগরিক তৈরিতে সুযোগ-সুবিধা রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে দেওয়াই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফরের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মাসুদ রানা বলেন, ২২২ কোটি টাকার মধ্যে কেবল অবকাঠামো নির্মাণেই ব্যয় হচ্ছে ৮৬ কোটি টাকা। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট এ কাজ বাস্তবায়ন করছে। শুরুতে এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২০২১ সাল করা হয়। অবকাঠামো নির্মাণের কাজ গণপূর্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে করা হলেও পুরো কাজটিই বাস্তবায়ন করছে নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রকল্পটির ভিত নির্মাণের কাজ চলছে। এরপর শুরু হবে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। সেটিরও টেন্ডার হয়ে গেছে বলে জানান গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মাসুদ রানা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।