ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

থ্রিজির নেটওয়ার্কে টুজি’র আনাগোনা!

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
থ্রিজির নেটওয়ার্কে টুজি’র আনাগোনা! রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থ্রি-জির চিত্র/

ঢাকা: অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাকটিভ ছিল ইন্টারনেট প্যাকেজ, সেটি থ্রিজি’র। কিন্তু সময়ে সময়ে মোবাইলের স্ক্রিনে নেটওয়ার্কের জায়গাটিতে ভেসে আসছিল ইংরেজি বর্ণমালার ‘ই’ (এই অক্ষরটি টুজিকেই বোঝায়)। আর থ্রিজি নেটওয়ার্ককেই নির্দেশ করে এইচ বা এইচ প্লাস।

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এমন নেটওয়ার্ক কাভারেজ দেখা গেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের।
 
থ্রি-জি প্যাকেজ কিনে টু-জি নেটওয়ার্কে বিলম্বিত ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গ্রাহকদের তিক্ত অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের।

আর গ্রাহকদের এই অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেল থ্রিজি কাভারেজের মধ্যে চলে আসছে টুজি নেটওয়ার্ক। আর তাতে ইন্টারনেটের ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এতে ভুগছেন গ্রাহকরা।
 
রাজধানীর উত্তরের আব্দুল্লাহপুর থেকে দক্ষিণের শাহবাগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে মোবাইলের ইন্টারনেট সচল রেখে দেখা যায়, অন্তত পাঁচটি স্থানে টুজি কাভারেজ। আব্দুল্লাহপুর, এয়ারপোর্ট, কাউলা বাসস্ট্যান্ড, বাংলামোটর, পরীবাগ এবং শাহবাগ এলাকায় গ্রামীণফোনের টুজি কাভারেজ পাওয়া যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা এসব স্থানে কোথাও ধীরগতি আবার কোথায় দীর্ঘ সময় আটকে ছিল বাস।
 
বেলা ১১টা ৮মিনিটে উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে বাসে উঠেই দেখা যায় ইংরেজির ‘ই’। ওই সময় ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে গিয়ে কিছুটা বিড়ম্বরনায়ও পড়তে হয়। সেখান থেকে রাজলক্ষ্মী পর্যন্ত ওই টুজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
 
অপারেটরটির কাস্টমার কেয়ার নম্বরে (১২১) ফোন করা হলে সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে একজন কর্মী জানান, আমরা অভিযোগ নিয়ে কাজ করছি। ৯ জানুয়ারি মধ্যে সমস্যার সমাধান পাবেন। ১২১ নম্বরে মেন্যু সিলেকশনসহ ওই কর্মীর সঙ্গে ১১মিনিট কথোপকথন হয়।
 
রাজলক্ষ্মী থেকে সামনে সামনে যাওয়ার পর অবশ্য এইচ বা এইচ প্লাস চলে আসে। আর সে সময় ইন্টারনেটের গতি ছিল বেশি। এয়ারপোর্ট এলাকায় ১১টা ২৩মিনিটে এইচ প্লাস থেকে ‘ই’ ভেসে উঠে স্ক্রিনে। বেলা সাড়ে ১১টায় কাউলা বাসস্ট্যান্ডেও স্ক্রিণে দেখা যায় ‘ই’।
 
কাউলা বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে বেলা ১১টা ৩২মিনিটের পর থেকে খিলক্ষেত, বিশ্বরোড, শেওড়াবাজার, এমইএস, রেডিসন হোটেলের সামনে হয়ে আর্মি স্টেডিয়াম, কাকলী, বনানী, মহাখালী বিজয় স্মরণি। বেলা ১টা ২৪মিনিটে ফার্মগেট এবং ১টা ২৯মিনিটে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে এইচ বা এইচ প্লাস ভেসে উঠে।
 
ফার্মগেট এলাকায় যানজটের মধ্যে আটকে থাকা বাসে এই অপারেটরের ইন্টারনেট ব্রাউজ করছিলেন একটি বিদেশি কোম্পানির মার্কেটিং কর্মকর্তা মুমেল। তিনি বলেন, কিছু দিন আগে নেটওয়ার্ক ভালো ছিল, এখন স্লো। যানজটে বসে থেকে মোবাইলে ব্রাউজ করি। নেট স্লো হলে তো প্রবলেম।
 
যানজটের কারণে কারওয়ান বাজার থেকে নেমে পায়ে হেঁটে হোটেল সোনারগাঁও অতিক্রম করে হাতিরঝিল অংশেও টুজি নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। পরীবাগ মোড়েও পাওয়া যায় টুজি।
 
থ্রিজি নেটওয়ার্কের মধ্যে রূপসী বাংলা মোড় পার হয়ে বারডেম হাসপাতালের সামনের অংশে বেলা ২টা ৬মিনিটে পাওয়া গেছে টুজি নেটওয়ার্ক। টুজি নেটওয়ার্কের জায়গাগুলোতে স্ক্রিনশর্ট নেওয়া হয় মোবাইলে।
 
এরই মধ্যে বেলা ২টা ৯ মিনিটে ১২১ নম্বর থেকে ফোন করে আবারও জানতে চাওয়া হয় আসলে সমস্যাটি কী নেটওয়ার্কের না ব্রাউজিংয়ে? টুজি দেখালেও কী ব্রাউজিংয়ে সমস্যা হচ্ছে কিনা? ব্রাউজিংয়ে সমস্যা জেনে নিয়ে তারা কাজ করবেন বলে জানান। পরে বিকল্প আরেকটি নম্বর নিয়ে দুই দফা যোগাযোগ করে কাস্টমার কেয়ার সেন্টার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।