ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১৫টির বেশি সিম বন্ধ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৮
১৫টির বেশি সিম বন্ধ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর

ঢাকা: এক গ্রাহকের নামে ১৫টির বেশি সিম নিস্ক্রিয় করার সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে অতিরিক্ত সিম বন্ধের সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এক নির্দেশনায় বিটিআরসি জানায়, গ্রাহক প্রতি ১৫টির বেশি সিম নেওয়া যাবে না। ১৫টির বেশি সিম থাকলে ৩১ ডিসেম্বরের পর সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সিম/রিমের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিটিআরসি জানিয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন গ্রাহকের প্রি-পেইড, পোস্ট পেইড মোবাইল অপারেটর নির্বিশেষে সিম/রিমের সর্বমোট সংখ্যা ১৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে ওই সীমার বাইরে কোনো গ্রাহক (করপোরেট গ্রাহক ব্যতীত) সিম/রিম নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে যে সব গ্রাহক ওই সীমা অতিক্রম করেছেন সে সব গ্রাহককে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে নিজে হাজির হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতিরিক্ত সিম/রিম নিস্ক্রিয় করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।  

‘ওই সময়সীমার পর সব গ্রাহকের সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত সিম/রিম কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে বন্ধ করে দেয়া হবে। ’   

এরআগে সর্বশেষ একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম নেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তারও আগে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধন নিষিদ্ধ ছিল।

অপারেটরদের কাছে পাঠানো গত ০৪ ডিসেম্বর (রোববার) বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে গ্রাহক প্রতি পোস্ট-পেইড, প্রি-পেইড নির্বিশেষে সর্বোচ্চ সিম/রিম (সব অপারেটর মিলিয়ে) সংখ্যা ১৫টি নির্ধারিণ করা হলো। ১৫টির অতিরিক্ত সিম/রিম অবৈধ বলে গণ্য হবে।

‘করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে এ সীমা বাস্তবসম্মত নয় বলে শুধুমাত্র কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য সিম/রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি (পয়েন্ট অব কন্টাক্ট) ওই সর্বোচ্চ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন। ’

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান গ্রাহকের মধ্যে যাদের ১৫টির বেশি সিম/রিম রয়েছে তাদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত সংযোগ নিস্ক্রিয় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

‘ওই সময়ের মধ্যে কোনো গ্রাহক তার অতিরিক্ত সিম/রিম স্বেচ্ছায় নিস্ক্রিয় না করে থাকলে পরবর্তীতে কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ’ 

কোন গ্রাহক তার নামে কত সংখ্যক সিম রয়েছে তা জানার সুযোগ করে দিয়েছে বিটিআরসি। ইউএসএসডি’র মাধ্যমে *১৬০০১# ডায়াল করে ফিরতি রিপ্লাই অনুসরণ করে সংখ্যা জানা যাবে।

২০১৬ সালের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ আগস্ট এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। এরপর গত বছরের ২৪ অক্টোবর ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।  

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সব গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসির কাছে রক্ষিত আছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কার কাছে কতটি সিম রয়েছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।