ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলা পাসওয়ার্ডে ‘স্মার্ট ক্যম্পাস’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
বাংলা পাসওয়ার্ডে ‘স্মার্ট ক্যম্পাস’ স্মার্ট ক্যম্পাস প্রকল্প-ছবি-জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার মনোরম পরিবেশ এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ধারণা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’। ক্যাম্পাসে প্রবেশ থেকে শুরু করে একাডেমিক বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাকে আরও এগিয়ে নেবে বলেই মনে করছে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশে প্রথমবার বাংলা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লক এবং আন-লক  করেছেন বলে দাবি করেছেন এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী দীপ্ত বেপারী, শোয়েব ও সাদিক।

সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে চলছে স্কিলস কম্পিটিশন।

এখানে আসা ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’র ধারণা নজর কেড়েছে দর্শনাথীদেরও। এতে স্থান পেয়েছে ৫০-এর বেশি প্রকল্প।

এই স্মার্ট ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই জোনে শিক্ষার্থীরা যেমন বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন, তেমনি প্রতিটি ক্লাসরুমে মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে রযেছে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবে সিসিটিভি। আর লেজার সিকিউরিটি সিস্টেমে অবৈধ প্রবেশ সিগন্যাল দিয়ে জানিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষকে। ল্যাবরেটরি বা গুরুত্বপূর্ণ কক্ষে বসানো থাকবে হিউম্যান ডিটেক্টর, কেউ বিনা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলে বেজে উঠবে অ্যালার্ম।

স্মার্ট টেক্সট পাসওয়ার্ড সিস্টেমে ক্যাম্পাসে লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। আর এসব ব্যবহার হবে বাংলায়।

বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে ক্যাম্পাসে থাকবে সোলার পাওয়ার সিস্টেম। আর সন্ধ্যা হলে অটোমেটিক স্টিট লাইট অন-অফ সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও সড়কবাতি জ্বেলে উঠবে। আবার ভোরবেলা নিভে যাবে। প্রয়োজনে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই ফ্যান ও লাইট অন-অফ করা যাবে।  

প্রজেক্ট দেখাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা-ছবি-জিএম মুজিবুররুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্যানের গতি কমানো বা বাড়ানো যাবে। ভয়েস কন্ট্রোল সিস্টেমে লাইট, ফ্যান ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চালু বা বন্ধ করতে এই পদ্ধতি বেশ কাজে আসবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।  

ক্যাম্পাসে আগুন লাগবে বেজে উঠবে ফায়ার অ্যালার্ম, আর ধূমপানমুক্ত রাখতে সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের একজন দীপ্ত বেপারী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকভাবে সাজানো আমাদের প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবো।  

তিনি বলেন, স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে বাংলা পাসওয়ার্ড দিয়েই এই স্মার্ট ক্যাম্পাস সিস্টেমের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাংলা পাসওয়ার্ড তারাই প্রথম ব্যবহার করেছেন বলে দাবি তার।

প্রতিযোগিতায় স্থান পওয়া চার কক্ষের একটি ক্যাম্পাসে এসব প্রযুক্তি ব্যয় ২ হাজার টাকা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের আয়তনের উপর নির্ভর করবে ব্যয়সীমা।  

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিকেলে স্কিলস কম্পিটিশনে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করবেন। পরে সেখানে ‘কারিগরি শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।