ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

যে সিদ্ধান্ত ১৫ দিনে, এখন তিন-চার মাস-বছর…

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
যে সিদ্ধান্ত ১৫ দিনে, এখন তিন-চার মাস-বছর… বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ/ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত ক্ষমতা বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়ে চলে যাওয়ায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি’র নবগঠিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
২০১০ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের পর টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত ক্ষমতা বিটিআরসি থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।


 
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কতগুলো ক্ষেত্রে সরকার কমিশন গঠন করে এবং তাতে ওই সেক্টর আরও ভালোভাবে চলতে পারে, যাতে অটোনমিভাবে চলতে পারে। এটি সত্য যে স্বাধীন অবস্থায় যেভাবে কাজ করতে পারবো ২০১০ সালের পর কিছু কিছু ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ে ট্রান্সফার করার ফলে গতিতে স্থবিরতা আসে।
 
তিনি বলেন, আগে যে সিদ্ধান্ত ১৫দিনে নেওয়া যেত, এখন সে সিদ্ধান্ত হয়তো তিন মাস চার মাস লাগে। এমনও উদাহারণ আছে আমাদের কাছে বছরও লেগে গেছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত আসেনি।
 
উদাহারণ হিসেবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জটিলতার জন্য বুরোক্রেটিক জটিলতার জন্য আটেক আছে। এতে ক্ষতিটা হচ্ছে রাষ্ট্রের, আইএসপি সেক্টর সম্প্রসারিত হচ্ছে না।
 
‘যে মুহূর্তে আমরা সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পাব তখন এই ক্ষেত্রটা আরও বড় হবে। আইএসপি কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। যতক্ষণ পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে যে সেবা বোঝায় তা জনসাধারণের কাছে নিয়ে যেতে পারবো না’।
 
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীন কমিশনের ক্ষমতা না থাকলে এ ঘটনা ঘটে। আমি আসার পরে আইন-কানুন এবং বিভিন্ন শাসনতন্ত্র দেখে মনে হয়েছে যে এটি স্বাধীন কমিশন হিসেবে তৈরি হয়েছিল। ২০১০ সালে ক্ষমতা চলে গেছে, যেটাকে পূর্বানুমোদন বলে আর কি…।
 
বিটিআরসিকে পুনরায় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
 
তিনি বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা করছি। দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। যাতে করে কাজের স্থবিরতা না আসে, কাজ যাতে আরো ফাস্টার হয়। কাজ দ্রুত না হলে আমাদের ভোক্তারা শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
 
টেলিকম সেক্টরটি উপযুক্ত জায়গায় আসেনি মন্তব্য করে চেয়ারম্যান বলেন, অনেক পিছিয়ে আছি। এখনো অনেকদূর যেতে হবে, দ্রুত এগোতে হবে।
 
তিনি বলেন, অনেক দেশে ফোর-জি চালু হলেও আমাদের হয়নি, তবে খুব দ্রুত এটি দেওয়া হবে। টাওয়ার শেয়ারিং, এমএনপি সবে মাত্র শুরু করলাম। আইপিটিভি, ইন্টারনেট বেইস বিভিন্ন সেবার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
 
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদি ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ এবং কমিটির সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।