ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে নিরাপত্তায় দরকার দক্ষ আইটি এক্সপার্ট

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে নিরাপত্তায় দরকার দক্ষ আইটি এক্সপার্ট

আগামী বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) ‘আইটি নিরাপত্তা” নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করেছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ।

সিএ টেকনোলজির সহায়তায় ‘এসিউর অ্যান্ড সিকিউর ইউর সার্ভিসেস ইন দ্য অ্যাপ্লিকেশন ইকোনমি’ শীর্ষক এই সেমিনারের মুল প্রতিপাদ্য সম্পর্কে অবহতি করতে ০১ নভেম্বর ঢকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার বলেন, সিটিও ফোরাম তার জন্মলগ্ন থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।

গত দুই বছর সিটিও ফোরাম শুধু তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে অনেকগুলো সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে, যেখানে দেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া সেমিনারগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো ফুটে উঠেছে। বিশেষকরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংকিং সেক্টরে নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি লক্ষণীয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক ঘটনার পরও অনেক ব্যাংক এখনও নিরাপত্তা ব্যাবস্থায় যতটুকু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা তারা নিচ্ছে না। আমরা সিটিও ফোরাম থেকে এই বিষয়ে গত দুই বছর ধরে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনও আশানরূপ ফল দেখছিনা।

ব্যাংকিং সেক্টরে সাইবার অপরাধের কিছু তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারী ইসলামি ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ’হিউম্যান মাইন্ড ক্রেকার’।

গত ২ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে ’মুসলিম হ্যাকার’ নামে একটি দল সোনালী ব্যাংকের নেটওয়ার্ক সিটিউরিটি ভেঙ্গে কয়েক ঘন্টার জন্য ওয়েবসাইটের পুরো কন্ট্রোল নিয়ে নেয়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটিএম এর জালিয়াতি সবার সামনে আসে, আর এর পর পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের বড় ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, পি.ডব্লিউ.সি এর ২০১৬ সালের জরিপে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অপরাধের মধ্যে সাইবার অপরাধ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ক্যাসপারিস্কি ল্যাবের ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের গবেষণায় দেখা গেছে কম্পিউটারের সাথে বিভিন্ন এক্সটারনাল ডিভাইস ব্যাবহারের ফলে সবচেয়ে বেশী নিরাপত্তা ঝুকিঁর দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে।

প্রতিটি দেশে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনগুলো যখন আসে, তখন নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে চলে আসে। এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এই সব বিষয় মোকাবেলার জন্য যেমন দক্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দরকার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা দরকার।

তাছাড়া বর্তমানে দেশের ই-কমার্সের প্রসার হওয়ায় ইলেক্ট্রনিক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস ও ইএমভির মত প্রযুক্তি ব্যবহার বাধ্যতামুলক করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, অ্যাপ্লিকেশন ইকোনমিতে কিভাবে আমদের সার্ভিসগুলো আরও নিরাপদ করতে পারি সে বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এই সেমিনারে অংশগ্রহন করবেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সিএ টেকনোলজির সিনিয়র কান্ট্রি ডিরেক্টর অনিমেষ সাহায়।

সেমিনারের দ্বিতীয় ভাগে সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬

এমআইটি/এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।