ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কোড নম্বরই বলবে আগে কি চিকিৎসা নিয়েছেন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
কোড নম্বরই বলবে আগে কি চিকিৎসা নিয়েছেন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন নয়। এর প্রকাশ এখন দিনের মতোই সত্য।

বেসরকারি খাত ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেলেও এ প্রয়াস থেকে পিছিয়ে নেই সরকারি উদ্যোগ।

আর এমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে একজন রোগী একবার ডাক্তার দেখালে সরকারের ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন তিনি। অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তির কোড নম্বরের বিপরীতে রোগের ও চিকিৎসাপত্রের সব তথ্য সংরক্ষণ থাকবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে গিয়ে জানা গেল এসব তথ্য। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ২ নম্বর হলে স্টল সাজিয়েছে সরকারের অন্য দফতরের মতো স্বাস্থ্য অধিদফতরও। এখানে আইসিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার প্রত্যয় তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

অধিদফতরের অ্যাসিসস্টেন্ট প্রোগ্রামার মোহাম্মদ মনির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ব্যবহার করে সেবাটি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একজন রোগী কোনো সরকারি হাসপাতালে গেলে তার সব তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে সে কী টেস্ট করালেন, কী ওষুধ সেবন করলেন, সে তথ্যও সংরক্ষণ করা হবে। আর এ তথ্যগুলো সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে একটি কোড নম্বর। পরবর্তীতে যখন ওই রোগী বা সেবাগ্রহীতা আবার ডাক্তারের কাছে যাবেন, তখন ডাক্তার কম্পিউটারের কী বোর্ড চেপে সহজেই সব তথ্য জানতে পারবেন। এতে একজন রোগীর পুরো রোগের তথ্য পাবেন ডাক্তার। ফলে চিকিৎসা ভাল হবে।

অন্যদিকে, রোগীকেও দীর্ঘদিন ধরে কাগজ-পত্র সংরক্ষণ করতে হবে না। এই পুরো ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেয়ার্ড হেলথ রেকর্ড’।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চারটি হাসপাতালে এটি পাইলটিং চলছে। এগুলো হলো-নিউরোসাইন্স, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ হাসপাতাল। এরপর সারাদেশেই চালু করা হবে এ কার্যক্রম। সব রোগীর ডাটাবেইজ সম্পন্ন হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ ডাটাবেইজ ব্যবহারের ব্যবস্থাও করা যাবে। ফলে দেশে নির্ভুল স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

১৯ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলার আয়োজন করেছে সরকারের আইসিটি বিভাগ। চতুর্থবারের মতো এ আয়োজন তাদের। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বাংলাদেশ উইমেন ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম। এতে সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয় তাদের আইসিটি সেবা প্রদর্শনী করছে। এছাড়া অংশ নিয়েছে প্রায় ৪শ’ প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন..

** ৩০ লাখ মানুষ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলা সর্ম্পকে জেনেছে

** মানসিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ডিজিটাল বাংলাদেশ
** শেষ হলো জামজমাট ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ মেলা
** ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’র সময় বাড়লো ২ ঘণ্টা

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
ইইউডি/ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।