ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভাষা শহীদদের স্মরণে জিপনের বিশেষ প্যাকেজ চালুর নির্দেশ পলকের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
ভাষা শহীদদের স্মরণে জিপনের বিশেষ প্যাকেজ চালুর নির্দেশ পলকের

ঢাকা: মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ‘জিপন’ এর জন্য বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ তৈরি ও তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভার শুরুতে এই নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় প্রতিমন্ত্রী সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় ইনডেক্সে ডাক ও টেলিযোাগাযোগ বিভাগকে এক নম্বর হিসেবে দেখতে চাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে অর্থ বছরের প্রথম দিন থেকে আমাদের ইনডেক্সের ওপরে থাকতে হবে। জাতীয় বাস্তবায়ন অগ্রগতি থেকে কোনো অবস্থাতেই নিচে থাকা যাবে না।

তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, অর্থ বছর শেষে আমাদের এক নম্বরে থাকতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবছরকে চারটি ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথম তিন মাস, প্রথম ছয় মাস, প্রথম নয় মাস ও পরে বছর।

তিনি বলেন, প্রথম তিন মাস পর যে প্রকল্পে যত খরচ করতে পারবে সে অনুযায়ী পরবর্তী তিন মাসের বরাদ্দ। আমি ভালো কাজের ভালো ফল দেখতে চাই। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে কোনো কাজেই আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভ ইতোমধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় তুলে ধরেছেন। স্তম্ভসমূহ হচ্ছে- স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই চারটি স্তম্ভ শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আগামী পাঁচ বছরে এই মন্ত্রণালয় কী করবে তিনটি ধাপে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আমরা তিনটি খাতকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেটি হচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, টেলিটক এবং টেশিসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা প্রধানরা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় টেলিযোগাযোগ বিভাগের চলতি অর্থবছরে নেওয়া প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। প্রকল্প পরিচালকরা প্রকল্পসমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় ডাক, ও টেলিযোগাযোগ সচিব জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।