ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘বিদেশ থেকে আনা পুরোনো ল্যাপটপ-মোবাইল ফোন বিক্রি বন্ধ করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
‘বিদেশ থেকে আনা পুরোনো ল্যাপটপ-মোবাইল ফোন বিক্রি বন্ধ করতে হবে’

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। বিদেশে ব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল আমদানি জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি।

আমরা দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না। এগুলো নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কী করে দেশে ঢুকছে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সেগুলোর বিক্রি বন্ধ করতে হবে।  

তিনি বলেন, ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে ই-বর্জ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি দক্ষ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য। ই-বর্জ্যের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি ও ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং করে এটিকে সম্পদে পরিণত করতে সমন্বিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।  

শনিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে বিআইজেএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ই-বর্জ্যের কাঁচামাল কাজে লাগানোর বিষয় সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশনসমূহকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ই-বর্জ্য পুনরায় কী কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। ই-বর্জ্য নিয়ে সেই ভিত্তিতে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।  

তিনি বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডাম্পিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এটা সম্ভব হলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ই-বর্জ্য প্রয়োজনে ডাকঘরের মাধ্যমে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।  

মন্ত্রী বলেন, ব্যবহৃত ব্যাটারি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে সেই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল কারখানা, মোবাইল অপারেটর এবং আইএসপিসহ বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বর্জ্য ফেরত নেওয়ার বিধিবিধান যাতে যথাযথভাবে পালন করে এ বিষয়েও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে ক্যাবল লাইন স্থাপনের পাশাপাশি ভবন নির্মাণের সময় ভবনসমূহে ইন্টারনেটের ক্যাবল পরিকল্পিতভাবে যাতে সংযুক্ত করা যায় সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।  

মন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। সফলভাবে ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।

বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, সার্ক সিএসআইয়ের সদস্য সাফকাত হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর এবিএম মইনুল হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাহফুজা, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও মোবাইল ফোন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ই-পণ্য থেকে বছরে ৩০ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। সঠিকভাবে এ বর্জ্য কাজে লাগাতে পারলে এ বর্জ্যই হতে পারে সম্পদ। এ সম্পদের বাজার আয়তন প্রায় ২২০ মিলিয়ন ডলার। বক্তারা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।