ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশ থেকে ৪২ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
বাংলাদেশ থেকে ৪২ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক

ঢাকা: অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক তাদের সর্বশেষ কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।  

তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ৪২ লাখ ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে টিকটক।

২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি টিকটক দিয়েছে, প্রতিবেদনটি সেটিরই প্রতিফলন ঘটায়।  

২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে টিকটক বিশ্বব্যাপী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৮১৯টি ভিডিও সরিয়েছে। এই সংখ্যা টিকটকে আপলোড হওয়া সকল ভিডিওর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। সর্বমোট ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যার মধ্যে অবশ্য ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৯টি ভিডিও পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।  

 টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪২ রাখ ৫৪ হাজার ৬৬৭ ভিডিও।  

এছাড়া, প্ল্যাটফর্মটিতে স্প্যাম ছড়ানো, এবং স্প্যাম ভিডিও পোস্ট করার দায়ে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি স্বয়ংক্রিয় উপায়ে তৈরি হওয়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট থেকে রক্ষা পেতেও সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে টিকটক।

চতুর্থ প্রান্তিকে, নীতিমালা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া ৯৫ শতাংশ ভিডিও ব্যবহারকারীরা দেখার আগেই টিকটক তা সরিয়ে ফেলেছে। আর এই ধরনের ভিডিওর ৯৬ দশমিক ৮ শতাংশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে এক দিনের মধ্যেই। চতুর্থ প্রান্তিকে ভিডিও অপসারণের সক্রিয় হার ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ।  

এছাড়া, চতুর্থ প্রান্তিকে সারা বিশ্ব থেকে ১৩ বছরের চেয়ে কম বয়সী সন্দেহভাজন হিসেবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৬টি অ্যাকাউন্টও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরানো হয়েছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬১০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট।  

টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা, অন্তর্ভুক্তি এবং সত্যতা। এই নীতিমালা সবার জন্য এবং সব কনটেন্টেই বিদ্যমান। এমনকি এটি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বজায় রাখা হয় সমতা।  

প্ল্যাটফর্মে নীতি লঙ্ঘন করা কনটেন্ট শনাক্ত করতে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে টিকটক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও মানুষের সমন্বয় ব্যবহার করে।  

ত্রৈমাসিক কমিউনিটি গাইডলাইন এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো কনটেন্ট এবং অ্যাকাউন্টগুলোর পরিমাণ এবং এর অভ্যন্তরীণ দিক সম্পর্কে তথ্য দেয়।

২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের সম্পূর্ণ রিপোর্টটি ওয়েবপেজে (https://www.tiktok.com/transparency/en-us/reports/) পাওয়া যাবে।

কনটেন্ট গাইডলাইনস এবং টিকটকের টুল সম্পর্কিত নীতি নিয়ে জানতে কমিউনিটি গাইডলাইনসে (https://www.tiktok.com/community-guidelines?lang=en) ভিজিট করে জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।