ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্ডাস্ট্রি, সরকার ও অ্যাকাডেমিয়ার সমন্বয়ে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইন্ডাস্ট্রি, সরকার ও অ্যাকাডেমিয়ার সমন্বয়ে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ

ঢাকা: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনোমি- এই চার ভিত্তির ওপর নির্মিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ইন্ড্রাস্টি, সরকার এবং একাডেমিয়া একত্রে কাজ করলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কোনো ধরনের বাধা থাকবে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর স্মার্ট বাংলাদেশ নতুন পরিচয় বহন করবে। এই বাংলাদেশ হবে কৃষক থেকে শুরু করে সব মানুষের।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বেসিস সফট এক্সপো’র শেষদিনের সেমিনারে খাত সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেছেন।

সেমিনারে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: রোল অব দ্য আইসিটি সেক্টর’। ডিসেন্ট অ্যাক্ট ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আশরাফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান।

প্রধান অতিথি নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সহযোগী। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রধান শর্ত ইন্ডাস্ট্রি, সরকার এবং একাডেমিয়াকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে জোর দিতে হবে। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং দরকার হবে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে আমাদের তরুণ সমাজকে সঠিক গাইড করতে হবে। তারা সঠিক গাইডলাইন পেলে কাজটা আরও সহজ হবে।

ডেটা সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান বলেন, আজকের দিনে সবকিছুর মূলে হলো ডেটা। যার হাতে যত ডেটা থাকবে সে তত বেশি শক্তিশালী। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আগের সব শিল্প বিপ্লব থেকে পুরোপুরি আলাদা। আগের শিল্প বিপ্লবগুলো ছিল অস্ত্র এবং অ্যানালগ সিস্টেমে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে নলেজ বেইজ, ডেটা নির্ভর প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত। ইন্ড্রাস্টি, সরকার এবং একাডেমিয়া একত্রে কাজ করলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কোনো ধরনের বাধা থাকবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর স্মার্ট বাংলাদেশ নতুন পরিচয় বহন করবে। এ বাংলাদেশ হবে কৃষক থেকে শুরু করে সব মানুষের।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ও ইকোনমির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং ই-গভর্নেন্স টিম লিডার ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেটরের প্রধান কৌশলবিদ মো. ফরহাদ জাহিদ শেখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।