ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

৫ বছরে পোশাক উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩০ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
৫ বছরে পোশাক উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩০ শতাংশ মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ ব্যবসায়ী নেতারা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্ব বাজারে পোশাকের দাম না বাড়ছে না। কিন্তু প্রতি বছর গড়ে ৮ শতাংশ হারে শিল্পের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে (২০১৪ থেকে ২০১৮) উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ- এমনটি অভিযোগ বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)।

একইসঙ্গে পোশাক শিল্পের এ অবস্থার উত্তরণে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈ‌রি পোশাক শি‌ল্পের রফতা‌নি‌র ক্ষে‌ত্রে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ’র নবনির্মিত কমপ্লেক্সে অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের স‌ঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দা‌বি জানা‌ন সমিতিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

নতুন মজুরি কার্যকর হওয়ার পর খরচ আরও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি ব‌লেন, একটা সংকটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে তৈরি পোশাক শিল্প। বর্তমা‌নে নতুন বাজা‌রে পোশাক রফতা‌নির ক্ষে‌ত্রে ৪ শতাংশ হা‌রে নগদ সু‌বিধা বহাল আ‌ছে। আপদকালীন সহায়তা হি‌সে‌বে আগামী অর্থবছরের বাজেট পোশাক শিল্প রক্ষায় অন্তত এক বছ‌রের জন্য ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দা‌বি কর‌ছি।

এ সহায়তা দি‌লে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। ত‌বে এর বিপরীতে সরকার এ শিল্প থেকে চার গুণ বেশি রাজস্ব পাবে।

সিদ্দিকুর রহমান ব‌লেন, আমাদের প্রায় এক হাজার ২০০ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বন্ধ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নগদ সহায়তা পেলে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

ভ্যা‌টের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি ব‌লেন, পোশাক শিল্প ভ্যা‌টের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এ হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এন‌বিআর‌) বল‌বো ভ্যা‌টের না‌মে পোশাক ব্যবসায়ী‌দের হয়রা‌নি আপনারা বন্ধ করুন।

তিনি ব‌লেন, কিছু ব্যবসায়ী বন্ডের সুবিধার অপব্যবহার করছেন। কিন্তু ঢালাওভাবে শিল্পকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যা বিজিএমইএ সমর্থন করে না। তাই যারা ব‌ন্ডের অপব্যবহা‌রের স‌ঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় ভবন অবৈধ হওয়ার জন্য রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী। তৎকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু ইপিবি আমাদের রাস্তার পাশে না দিয়ে ঝিলের মধ্যে জায়গা দেয়। এখন এর দায়ভার তাদের নিতে হবে। এজন্য ইপিবি দায়ী, প্রয়োজনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। আমাদের নতুন ভবন নিয়ে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। সব আইনি পদক্ষেপ সম্পন্ন করেই এখানে আসতে পেরেছি, এটা আমাদের সফলতা।

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক হাসান, সহ সভাপতি এসএস মান্নান (কচি), সহ সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছিরসহ সমিতির পরিচালকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।