ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

৩ মাস ধরে বেতন পান না কুষ্টিয়া সুগারমিলের কর্মীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
৩ মাস ধরে বেতন পান না কুষ্টিয়া সুগারমিলের কর্মীরা কুষ্টিয়া সুগারমিলের গেট। ছবি: বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া সুগারমিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা পাননি। সুগারমিলে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচশ’। আরও প্রায় সাতশ’ মৌসুমী চুক্তিভিক্তিক কর্মচারী-শ্রমিক রয়েছেন। যাদের কেউই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলের বেতন-ভাতা পাননি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। 

২২১.৪৬ একর জমির ওপরে প্রতিষ্ঠিত এ সুগারমিলকে ঘিরে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।  

সুগারমিলে চলতি মৌসুমে (২০১৭-২০১৮) ৫৩ কর্মদিবসে ৪২১৩৭.৬৩০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করা হয়েছে ১৮৫৯ মেট্রিক টন।

এতে সুগারমিলের ক্ষতি হয়েছে ৫৬ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।  

এতো বিপুল পরিমাণ লোকসান নিয়ে বেতন দিতে পারছে না সুগারমিলটি। আখ উৎপাদন কম হওয়াকেই চিনি উৎপাদন কম ও লোকসানের কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ যাই হোক, বেতন-ভাতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা।  

কর্মচারীরা বলছেন, কৃষক আখ কম উৎপাদন করার কারণেই চিনির উৎপাদন কম। মিল লোকসান করায় আমরা বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো।  

কুষ্টিয়া সুগারমিলের শ্রমিক সংগঠন (সিবিএ) এর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিঠুন বাংলানিউজকে বলেন, রমজান মাস। চার মাসের বেতন-ভাতা পায়নি মিলের কেউ। কীভাবে আমাদের দিন চলছে সে খোঁজ কেউ রাখে না। আমরা দেশের জন্য কাজ করছি, অথচ আমরা বেতনই পাচ্ছি না। এতে শ্রমিকরাও কাজ করার উৎসাহ হারাচ্ছেন।  

কুষ্টিয়া সুগারমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়া সুগারমিলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। সময়মতো তারা বেতনভাতা পেলে তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী হবেন সবাই।  

তিনি বলেন, আখের উৎপাদন বাড়াতে এ বছর কুষ্টিয়া সুগারমিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  নিজেরাই আখ চাষ করেছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তারা আখের সঠিক পরিচর্যা করতে পারছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।