ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

৪৫ দেশ থেকে অ্যাপারেল সামিটে আসছে ১০০ ক্রেতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
৪৫ দেশ থেকে অ্যাপারেল সামিটে আসছে ১০০ ক্রেতা

ঢাকা: এইচঅ্যান্ডএম, ইন্ডিটেক্স, সিঅ্যান্ডএফসহ পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য কিছু ক্রেতার ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে আসা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশ থেকে ১০০ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেবে ২৫ ফেব্রুয়ারির ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ দিন যাবত টানা যোগাযোগ ও আলোচনার পর এইচঅ্যান্ডএম, সিঅ্যান্ডএফ, ইন্ডিটেক্স অবশেষে বাংলাদেশে দ্বিতীয় অ্যাপারেল সামিটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শুধু তাই নয় এসব ক্রেতাসহ প্রায় ১০০ টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে অংশ নিতে অনলাইনে প্রায় ৫ হাজার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ক্রেতাদের সাথে গত কয়েকদিনে আমরা একাধিক বৈঠক করেছি। অবশেষে সকল ক্রেতা আমাদের অ্যাপারেল সামিটে অংশ নিতে চিঠি দিয়ে নিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয়, এই অ্যাপারেল সামিটে পোশাক শিল্পের নানা খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। অ্যাপারেল সামিট বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনের অগ্রযাত্রায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
 
অ্যাপারেল সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা অ্যাপারেল সামিটে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির মডেল দেখানো হবে সাথে থাকবে গার্মেন্টের প্রয়োজনীয় আরও নানা দিক।
 
একদিনের এই অ্যাপারেল সামিটে তিনটি সেশন থাকবে। প্রথম সেশনটি দেশের পোশাক শিল্পের বিজনেস পলিসি ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করা হবে। দ্বিতীয় সেশনটিতে আলোচনা হবে সাস্টেনেবল প্রবৃদ্ধি নিয়ে। সব শেষ সেশনটিতে আলোচকরা কথা বলবেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে চলার রোড ম্যাপ নিয়ে।
 
এসব বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই সামিটে তিনটি সেশনে দেশের পোশাক শিল্পের সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু তাই নয় কিভাবে এই শিল্প সামনে আরও এগিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

এবারের ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে ‘টুগেদার ফর এ বেটার টুমোরো’। সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।