ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

গতি কমলেও চরিত্র পাল্টায়নি ‘আম্পান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
গতি কমলেও চরিত্র পাল্টায়নি ‘আম্পান’

কলকাতা: ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশ। বুধবার (২০ মে) দুপুরের পর থেকে যেকোনো সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে আম্পান। এবং তখন তার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার। এবং তা আঘাত হানবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অথবা ক্যানিং এর দিকে।

এর আগে জানা যায়, দীঘার সমুদ্র পাড়ে আছড়ে পড়তে পারে আম্পান। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে আম্পান তার গতিপথ পাল্টেছে এবং তার ফলে কিছুটা গতিক্ষয় হয়েছে।

তবে মোটেও চরিত্র পাল্টায়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তছনছ হতে পারে দুই বাংলার সুন্দরবনের একাংশ। তবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষতির মুখ দেখবে বেশি। এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে যে, আম্পান তিনটি স্তরে স্থল ভাগে প্রবেশ করবে। মাথা-চোখ-লেজ। ফলে স্থলভাগে দুবার আচমকা ঝড় দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ বিকেলে যখন ঝড়ের মাথা প্রবেশ করবে তখন একবার। এরপর কমে যাবে ঝড়ের দাপট। শুরু হবে স্বাভাবিক বৃষ্টি।

এরপর ঝড়ের শেষ ভাগ অর্থাৎ লেজ যখন রাতের দিকে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন তার দাপট আবার দেখা যাবে। এবং যে সময় লেজ পশ্চিমবঙ্গে থাকবে তখন মাথা থাকবে বাংলাদেশে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে দুই বাংলা।

পশ্চিমবাংলার নিরিখে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে তিন জেলায়। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতাতেও ঝড় বয়ে যাবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে। ফলে আম্পান কলকাতায়ও তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কাই করছেন আবহবিদরা।

আম্পানের তাণ্ডব প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় জানালেন, ‘মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা করছি আমরা। সবাই নিরাপদ স্থানে থাকুন। বাড়ির বাইরে বের হবেন না। ’ কলকাতায় ইতোমধ্যেই অ্যাডভাইসরি জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও সবাইকে আবেদন জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১২টার পর ঘর থেকে বের না হওয়ার। ’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কারও কোনো অসুবিধা হলে জানাবেন। আমরা বুধবার দিন-রাত কাজ করব। বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতায় সমস্ত অফিস, প্রতিষ্ঠান। রাস্তায় মানুষ যাতে না বের হয়, সেটা নিশ্চিত করা দরকার। সবাই ঘরে থাকুন। ঝড়ে প্রচুর গাছ পড়বে। পুরনো বাড়ি যেগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, সেগুলি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।