ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

সমাধিসৌধে খচিত গান্ধীর ‘শেষ উক্তি’

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
সমাধিসৌধে খচিত গান্ধীর ‘শেষ উক্তি’ ছবি: আসিফ আজিজ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

তখনও ডগায় টলটলে শিশিরবিন্দু। সবুজ ঘাসগুলো তুলানরম কার্পেটের মতো বিছিয়ে প্রাঙ্গণজুড়ে। মূল সড়ক থেকে পাঁচিল ঘেরা কমপ্লেক্সে যে বাঁধানো পথ চলে গেছে সেটি ফুলের গন্ধমাখা। সাদা নয়নতারা সকালের নির্মল আলোয় উজ্জ্বল।

তখনও ডগায় টলটলে শিশিরবিন্দু। সবুজ ঘাসগুলো তুলানরম কার্পেটের মতো বিছিয়ে প্রাঙ্গণজুড়ে।

মূল সড়ক থেকে পাঁচিল ঘেরা কমপ্লেক্সে যে বাঁধানো পথ চলে গেছে সেটি ফুলের গন্ধমাখা। সাদা নয়নতারা সকালের নির্মল আলোয় উজ্জ্বল।

নিচু ঢাল থেকে ফুট আটেক উপরে চৌকো কমপ্লেক্স দিয়ে চারপাশ সারিবদ্ধভাবে হাঁটছিল স্কুলের কিছু শিশু। জাতির স্বপ্নদ্রষ্টাকে স্মরণ করছে তারা।

সবুজ ঘাস আর গাছঘেরা প্রাঙ্গণের মাঝখানে কালো পাথরে মোড়া সৌধ। পশ্চিমপাশে যমুনা নদী। এদিকেই মূল সৌধ ঘেঁষে কাচঘেরা বক্সে জ্বলছে শিখা। জ্বলে সবসময়। এ সম্মান মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধীর জন্য।

তার স্মৃতির উদ্দেশ্যেই দিল্লির রাজঘাটে নির্মিত হয় গান্ধী সমাধিসৌধ। ১৯৪৮ সালে নথুরাম গডসের হাতে মারা যাওয়ার পর ফিরোজ শাহ কোটলার যমুনা নদীর পাড়ে শেষকৃত্য শেষে ছাইভস্ম এখানে রক্ষিত হয়।

কালো মার্বেল পাথরে তৈরি সৌধস্থলে এলে সত্যি পবিত্রতায় মন ভরে যায়। প্রথমে সৌধ কমপ্লেক্সের উপরে উঠে টপ ভিউ থেকে দেখে ৩৬০ ডিগ্রিতে এলাকাটি দেখেন বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশনের সদস্যরা। নিজেরা জায়গাটিকে।

সার্বক্ষণিক টিমকে সঙ্গ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) রাজেশ উইকে। ডেলিগেট সদস্যদের কেউ কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি।

মূল সমাধিসৌধে কালো মার্বেল পাথরে মোড়া। সামনে পুবের দিকে লেখা গান্ধীর উক্তি `হায় রাম’। যার বাংলা করা হয় ‘ও ঈশ্বর’। বলা হয় এটাই গান্ধীর শেষ উক্তি। এমন বিশ্বাস প্রচলিত।

প্রতিদিন সকালে তাজা গোলাপ, গাঁদা, জবা, বেলী, শিউলিতে সাজিয়ে মহান এ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

একটি হাজার বছরের চৈনিক পাথরে ভারতের জাতির জনকের দেহভষ্ম সংরক্ষণ করা হয়। শুধু এ অহিংস নেতাকে নয়, তার ওই উক্তিটিকেও যেন ধারণ করে তার অনুসারী, ভক্তরা।

নতুন দিল্লি রাজপথ থেকে চার কিলোমিটার দূরের রিংরোডে এটি অবস্থিত। খোলা থাকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত।

গান্ধীর সমাধিসৌধ, এতে লেখা উক্তি ডেলিগেশন সদস্যদের নতুন ভাবনার উদ্রেক করে। ৪ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আটদিনের সফরে দিল্লি ছাড়াও আহমেদাবাদ ও কলকাতার কয়েকটি স্থানে পরিদর্শন করবে দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এএ/

**দিল্লি জামে মসজিদ থেকে লালকেল্লা
** সান্ধ্য আলোয় যুদ্ধস্মৃতির ইন্ডিয়া গেট
** জাদুটানা দিল্লি জাদুঘর
** বাংলা উচ্চারণেই মুগ্ধতা ছড়ালেন রাষ্ট্রপতি প্রণব
** বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রণব মুখার্জির
** হিমালয় দেখতে দেখতে সোয়া ২ ঘণ্টায় দিল্লি!
** ভারতে বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম
** ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।