ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশিরা নিশ্চিন্তে কলকাতায় আসতে পারবেন, বলল মারক্যুই স্ট্রিট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
বাংলাদেশিরা নিশ্চিন্তে কলকাতায় আসতে পারবেন, বলল মারক্যুই স্ট্রিট

কলকাতা: কলকাতা নিরাপদ। পশ্চিমবঙ্গ কী বাংলাদেশিদের জন্য নিরাপদ? বাঙালিদের আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায় এমন নানা বিষয় নিয়ে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বৈঠক ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কলকাতার ‘মারক্যুই স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’।

২০২২ সালে কলকাতায় এ সোসাইটি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশিদের অভাব-অভিযোগ শোনা ও কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় বাঙালিদের নিরাপত্তা বাড়ায় এ সোসাইটি।

তারা বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধের কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ধাক্কা লেগেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও কমেছে কলকাতায় বাংলাদেশিদের আসা-যাওয়া। তাদের কাছে বহু বাঙালি জানতে চাইছে কলকাতা কতটা নিরাপদ? এ কারণে এ বৈঠক।

ওয়েলফেয়ার সোসাইটি জানাচ্ছে, আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশ বয়কটের কথা বললেও আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, আমরা কোনো বয়কটের পক্ষপাতী নই। আমরা বাংলাদেশিদের বয়কট করছি না।

মূলত এ মৌসুমে বাংলাদেশিদের ভিড়ে জমজমাট থাকে কলকাতা। শীতকে কেন্দ্র করে গত বছরের চিত্র ফুটে উঠত কলকাতায়। কিন্তু চলতি সময় পরিস্থিতি ভিন্ন। শহরের মার্কক্যুইয়ে একেবারে অন্য চিত্র ফুটে উঠেছে। চারদিক ফাঁকা। হাতেগোনা কয়েকজন বাঙালি আসা-যাওয়া করছে।  

সোসাইটি আরও জানাচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি কিছু গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশন করছে। সেগুলোই সমস্যা তৈরি করছে। দুই দেশের বাঙালিকে গুরুত্ব না দিতে অনুরোধ করেছেন তারা।

এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলেন, বহু বাঙালি বাংলাদেশ থেকে জিজ্ঞেস করছেন কলকাতা যাওয়া এ সময় নিরাপদ হবে? চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো? আমরা বলছি কোনো সমস্যা নেই। নিশ্চিন্তে আসতে পারেন।

তাদের অভিমত, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ না হলে সবাই অ্যাফেক্টেড হবে। শুধু আমরা নয়, বাংলাদেশ অ্যাফেক্ট হচ্ছে। আমরা চাই দুই দেশ বসেই সিদ্ধান্ত নেক। শান্তি ফিরে আসুক দুই দেশে। বাড়ুক মানুষে মানুষে যোগাযোগ। ব্যবসা হারালে দুই দেশই সমস্যায় পড়বে।

ভারতীয় ভিসা বন্ধের কারণ সম্পর্কে তারা বলেন, কী কারণে ভারত ভিসা বন্ধ করেছে এ ব্যাপারে তারা স্পষ্ট নয়। তবে এ বিষয়ে এখনি তারা ভারত সরকারকে চিঠি দেবে না। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চায়।

তারা জানাচ্ছে, এ মুহূর্তে মাত্র চার থেকে পাঁচ শতাংশ মানুষ কলকাতায় অবস্থান করছেন, যা গত বছর এ সময় ছিল ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।