কলকাতা: বাংলাদেশ ইস্যুতে একাট্টা পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতিকরা। ভোট টানতে মরিয়া সব রাজনৈতিক নেতাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ করছেন।
বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারত সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলুক।
রাজ্যটির বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিয়মিতই হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে। গত ২ ডিসেম্বর পেট্রাপোল সীমান্তে এক সভায় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দেন শুভেন্দু।
এবার বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ড. ইউনূস বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখতে পারছেন না দাবি করে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা নোবেল কমিটিতে আছেন তারা চিন্তা ভাবনা করবেন যে তারা কি করতে পারেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) তিনি এসব মন্তব্য করেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার আরো বলেছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্য সরকার তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে। দুই দেশের মানুষই শান্তিতে বসবাস করতে চায়। এখানে যারা বসবাস করছেন তাদের পূর্বপুরুষের সিংহভাগ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।
একই অভিযোগ তুলে নোবেল কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির সংসদ সদস্য জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য আবেদনও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া আসনের এই বিজেপি নেতা।
এর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর মন্তব্যে পর একইভাবে স্পিকারের বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের শাসকদলকে তুষ্ট করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?
এদিকে, বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশে ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে চাপা উত্তেজনা চলছে। গতকালের পর থেকে মিশন এলাকায় আরো নিরাপত্তা বাড়িয়েছে কলকাতা পুলিশ। এদিন স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী - লেলিনবাদী) লিবারেশন।
এ সময় দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অতনু চক্রবর্তী বলেছেন, শান্তি ন্যায় সংগতি এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিবেশী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে পক্ষে সহায়ক ভূমিকা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ