ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতের যে অঞ্চল দিয়ে আছড়ে পড়বে ‘দানা’, প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ভারতের যে অঞ্চল দিয়ে আছড়ে পড়বে ‘দানা’, প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।  

কলকাতার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ভিতরকণিকা এবং ধামরা অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় দানা।

তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ -১১০ কিলোমিটার।  তবে দানা পশ্চিমবঙ্গে ল্যান্ডফল করবে না। এরপরও এর বড়সড় প্রভাব পড়বে রাজ্যটিতে।  

যে আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মমতার প্রশাসন। অপরদিকে, আতঙ্কে প্রহর গুনছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

ঘূর্ণিঝড় দানা পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি ল্যান্ডফল না করলেও এর প্রভাব পড়বে রাজ্যের নয়টি জেলায়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং মেদিনীপুরে। যা নিয়ে তৎপর হয়েছে বাংলার প্রশাসন। ইতোমধ্যে দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সুন্দরবনসহ উপকূলবর্তী এলাকায়। পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতাসহ একাধিক জেলায়।

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে যাতে কোনো বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে খোলা হয়েছে ‘ফ্লাড সেন্টার’। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

তবে সময় যত এগোচ্ছে উত্তল হয়ে উঠছে নদী এবং সমুদ্র। পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। সমুদ্র পারের প্রতিটি হোটেলকে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে বুধবার দুপুরের মধ্যেই পর্যটক শূন্য করে দিতে হবে। জায়গায় জায়গায় চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং প্রচার। সুন্দরবনসহ রাজ্যের যেসব জেলায় দানার প্রভাব পড়তে পারে সেসব নদী এলাকায় বুধবার সকাল থেকেই ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনের নদী পাড়ের বাসিন্দারা। তাদের অভিমত, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় আসে কিন্তু তাদের পরিস্থিতি পাল্টায় না। নদীর বাঁধ ভাঙে, আর সেই বাঁধ ভাঙা নোনাপানি শেষ করে দেয় জমির ফসল। ধসে যায় কাঁচা বাড়ি। ভেসে যায় ঘেরের মাছ। রাজ্য সরকারকে হাজার বলেও এখন পোক্ত করা হয়নি নদীর বাঁধগুলোকে। ফলে ঝড়ের নাম শুনলেই পরিবার নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এবারও যার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। যদিও তাদের কথা ভেবে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে সেসব অঞ্চলে। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণের।

ইতোমধ্যে উড়িষ্যার পুরী সমুদ্র এবং পশ্চিমবঙ্গের দীঘা সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে ১৬০টি ট্রেন। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।