কলকাতা: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র পর এবার ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় অধ্যায়।

২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা, যা শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি। সে যাত্রায় দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে উত্তরের জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন রাহুল। মোট ১৫০ দিনে ১২টি রাজ্যে হেঁটেছিলেন রাহুল ও তার কংগ্রেসের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা।  

রাহুলের গত যাত্রার পথে পড়েছিল কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্য। সে যাত্রা দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বেশ প্রভাব রেখেছিল। দুই রাজ্যেই নির্বাচনে জয়লাভের পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানও বেড়েছে।

কংগ্রেস ধারণা করছে, ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় অধ্যায়ও প্রভাব ফেলবে। কারণ, আর কদিন পরেই শুরু ভারতে ভোটের বছর। আর সেই লোকসভা ভোটের বছর শুরুর আগেই আবার কর্মসূচি নিলেন রাহুল গান্ধী।  

এবারের যাত্রাপথে সোনিয়াপুত্র হাঁটবেন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই পর্যন্ত। আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের যাত্রার দ্বিতীয় অধ্যায়। চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। ভারত জোড়ো যাত্রারই দ্বিতীয় পর্যায়ের নাম দেওয়া হয়েছে ভারত ন্যায় যাত্রা। পাশাপাশি এবারের যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গের পথেও হাঁটবেন রাহুল।

মণিপুর, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র মিলিয়ে রাহুল গান্ধী এই যাত্রায় ১৪টি রাজ্যের প্রায় ৮৫টি জেলা অতিক্রম করবেন। প্রায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এ যাত্রার শুভ সূচনা করবেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেন, প্রথম ধাপে দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে উত্তর ভারতের কাশ্মীর পর্যন্ত যে ভারত জোড়ো যাত্রা হয়েছিল, তা ছিল ঐতিহাসিক। সেই ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে রাহুল গান্ধী এবার নতুন এক যাত্রা শুরু করবেন। এ যাত্রা সমাজের যুব, নারী এবং প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ভিএস/আরএইচ