ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

রেল কর্তারা কবে সতর্ক হবেন, জানতে চান মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
রেল কর্তারা কবে সতর্ক হবেন, জানতে চান মমতা

কলকাতা: ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাই স্টেশনে পর্যটক বহনকারী একটি চলন্ত ট্রেনের কামরায় আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার(২৬ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যা ২০ জনের বেশি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কিন্তু, এই দুর্ঘটনার দায় কার? সেটা নিয়ে ওঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে শনিবার (২৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, রেলের এই অপদার্থতা বন্ধ হওয়া উচিত। মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ হওয়া উচিত। রেল কর্তারা কবে সতর্ক হবেন, সে প্রশ্নও করেছেন তিনি।  

তবে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তামিলনাড়ুর পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসের ওই কামরাটি ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই কামরার যাত্রীরা এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে। রেলের ভেতর পার্টি করার উদ্দেশে ভাড়া করা কামরাটি আলাদা করে মাদুরাই স্টেশনের কাছে রাখা হয়েছিল।

রেল সূত্রে খবর, ওই কামরাতে যাত্রীরা লুকিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা করছিলেন। এমনকী কামরার ভিতর রান্না করা হচ্ছিল বলেও দাবি করা হচ্ছে। যা নিয়মবিরুদ্ধ। সেই গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেল এবং দমকল কর্মীরা। সকাল ৭টা ১৫ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

কিন্তু মমতার প্রশ্ন, রেল এই অপদার্থতার দায় এড়াবে কী করে? কেনো, কোনো নজরদারি ছিল না? তিনি দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করে বলছেন, ভারতীয় রেলে আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আশা করি দ্রুত তদন্ত হবে। এবং দোষীরা শাস্তি পাবে। একই সঙ্গে রেলের কাছে মমতার প্রশ্ন, আমরা কি জানতে পারি রেলের কর্তারা কবে আরেকটু সতর্ক হবেন? কবে এই অপদার্থতা বন্ধ হবে?

এদিকে রেলের তরফে মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারও আহতদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

এর আগেও রেলেরে বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার(২৩ আগস্ট) মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় আচমকাই একটি নির্মাণাধীন রেলসেতু ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় সেখানে কাজ করছিলেন প্রায় ৩০-৩৫ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনার জেরে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। জানা যায়, মৃতরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে সুদূর মিজোরামে কাজ করতে গিয়েছিলেন তারা।  

সেদিন মমতা হুশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, রেলের কাজ করতে গিয়ে মারা গেছে। মৃতের পরিবারকে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকেই। ওরা রেলের কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছে। রেল তার দায়বদ্ধতা অস্বীকার করতে পারে না।  

তারও আগে গত জুন মাসে ভারতের উড়িষ্যার করমন্ডলে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তখনও রেলের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। এরপর তামিনাড়ুতে ঘটে গেল রেলের বড় দুর্ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
ভিএস/এমএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।