ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটে জিতেও স্বস্তিতে নেই মমতার সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটে জিতেও স্বস্তিতে নেই মমতার সরকার

কলকাতা: গত ৮ জুন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তেতে ওঠে রাজ্যটি। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ৮ জুলাই ভোটের দিন এবং ১১ জুলাই শুরু হওয়া গণনা পর্বেও জারি ছিল মৃত্যুমিছিল।

 

বুধবার(১২ জুলাই) শেষ হয় ভোট গণনা। আর তাতেও মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত সহিংসতার নানা ঘটনায় রাজ্যটিতে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

বিরোধীদের করা মামলায় বুধবার(১২ জুলাই) কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, খুব দুঃখের যে ফল ঘোষণার পরেও রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে সেটা চরম উদ্বেগের।

বিচারপতিরা বলেছেন, এতো বড় দুর্গা পূজায় লাখ লাখ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে কত রকম ব্যবস্থা নেয় রাজ্য। অথচ এখানে কিছু সংখ্যক মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন থামানো যাচ্ছে না মৃত্যুমিছিল? রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এদিন তা জানতে চান হাইকোর্ট।

উত্তরে ভোট পর্বের এ অশান্তির দায় নির্বাচন কমিশনের ওপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। তাদের অভিমত, নির্বাচনের ঘোষণার পর রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়। ফলে এখানে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নই উঠতে পারে না।  রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা। তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।

এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এ মামলার ভবিষ্যতের ওপর। জয়ী প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনকে ঘোষণা করতে হবে যে আদালতের নির্দেশের ওপর তাদের জয়-পরাজয়ের ফল নির্ভর করবে। কারণ, বিরোধীরা পাঁচ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের যে দাবি করেছে। নির্বাচন কমিশনারকে তা বিবেচনা করে দেখতে হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
ভিএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।