ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সরকারি ভবন খালি করে দিলেন রাহুল গান্ধী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
সরকারি ভবন খালি করে দিলেন রাহুল গান্ধী

কলকাতা: মোদী পদবি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়েছে গত মার্চে। এর পর তাকে দিল্লির সরকারি ভবন ছাড়তে নোটিশ দেওয়া হয়।

আগামীকাল ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় আছে তার হাতে।

এর আগেই দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি ভবন খালি করে দিয়েছেন রাহুল। শনিবার (২২ এপ্রিল) তিনি ভবন খালি দেওয়ার পর লোকসভার সচিবালয়ের কাছে চাবি হস্তান্তর করার কথা ছিল তার। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকায় কংগ্রেস চাবি ফেরত দিতে পারেনি।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস নেতা তার সরকারি ভবন ছেড়ে দেওয়ার কাজ করছিলেন। সরিয়ে নিচ্ছিলেন তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর। এক টুইট পোস্টে তিনি লেখেন- আজ রাহুল গান্ধী লোকসভা সচিবালয়ের আদেশ অনুযায়ী তুঘলক লেনে তার বাড়ি খালি করেছেন। আদালত তাকে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বা এসসি এখনও তাকে পুনর্বহাল করতে পারে, কিন্তু তার সরে যাওয়ার অনুকরণীয়।

এর আগে রাহুলদে ভবন খালি করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হলে তিনি এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, আমি অবশ্যই এ নির্দেশ পালন করব। সে ধারাবাহিকতায় নিজের বাসভবন ছাড়লেন রাহুল।

প্রসঙ্গত, অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সংসদের সদস্য পদ খোয়াতে হয় সাবেক কংগ্রেস সভাপতিকে। যদিও সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগ পাবেন রাহুল। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন তিনি।

গত ১৩ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হয় সুরাটের নগর দায়রা আদালতে। শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তার রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছেন নিম্ন আদালত। বিচারক পি মোগেরা সেদিন মামলার রায় স্থগিত রাখেন। ফের ২০ এপ্রিল আদালতে মামলা ওঠার পর রায় ঘোষণা হয় রাহুলের বিপক্ষে। তার শাস্তি খারিজ হওয়া বা কম কোনোটি হয়নি। যার অর্থ কেরলের ওয়েনাড়ের এখনই সংসদ সদস্য পদ ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। যদিও আরও উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন কংগ্রেসে এই নেতা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, আগামী দিনে ফের সমস্তরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ভারতের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী মোট ৮ (২ বছর জেল, পরে আরও ৬) বছরের সাজা ঘোষণা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে। ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল, ২০২৩
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।