ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

এপাং ওপাং ঝপাং কবিতা কে পড়বে: বিচারপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এপাং ওপাং ঝপাং কবিতা কে পড়বে: বিচারপতি

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিদিন বিস্ফোরক সব মন্তব্য করছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  

বিভিন্ন মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার মন্ত্রীসভাকে তুলোধোনা করছেন।

বুধবার(২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিষোদাগার করলেন মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতা নিয়ে।  

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরবরাহ করা লাইব্রেরি বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বললেন, কবিতার লাইন যদি ‘এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং’ লেখা হয় তাহলে কেউ পড়বে? আমার মনে হয় না কেউ পড়বে। এসব অখাদ্য বই (কবিতা) লাইব্রেরি থেকে সরান।

দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুরে মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরির এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  

তিনি বলেন, প্রথমেই বলে রাখি, আমাকে মার্জনা করবেন। কিছু শব্দ ব্যবহার করব।  রাজ্যের বিভিন্ন পুস্তক লাইব্রেরিতে এত অখাদ্য বই সরবরাহ করা হচ্ছে, যেগুলো কোনো পড়ার অযোগ্য। কেউ পড়তে চাইবে না। একেবারে পরিকল্পিতভাবে কিছু অখাদ্য বই লাইব্রেরিগুলোয় সরবরাহ করা হচ্ছে। কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর কারণ, এসব বই কিনলে তবেই অনুদান পাওয়া যায়। না হলে পাওয়া যায় না। এই ধরনের বই সরবরাহের মধ্যদিয়ে উইপোকা ছাড়া কারও সুবিধা হয় না।

এরপরই বিচারপতির তীর্যক মন্তব্য করেন, কবিতার লাইন যদি এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং, হয় কেউ পড়বে? আমার মনে হয় না কেউ পড়বে। এগুলো যারা লেখেন বা গ্রন্থাগারে জোর করে গিলিয়ে দেন তারাই হয়তো পড়বেন। কাউকে না কাউকে এসব বলতেই হবে, তাই আমি বলছি, এগুলো রাখবেন না।

এদিনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেছেন, অগেও বলেছি, এখনও বলছি বিচারপতি যে কাজ করেন এবং যেসব মন্তব্য করেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এজলাসে বসে তৃণমূলের সমালোচনা, দলের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার হুমকি-সহ নানা বিষয়ে উনি আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পসত্ত্বার প্রতি বিচারপতির সমালোচনা আসলে পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ।

প্রসঙ্গত, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মদিবস উপলক্ষে গত বছরের ৯ মে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন মমতা। সেবার সেবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাত, জয় গোস্বামী  আবুল বাশার এবং সুবোধ সরকারের মত সাহিত্য ব্যক্তিত্বরা।

সে সময় মমতার এ পুরষ্কারপ্রাপ্তির সমালোচনা করেন কলকাতার সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, মমতার যা কবিতা তা সকলেই জানেন। এখানে অন্য কোনো বিষয় কাজ করছে। সন্তুষ্টির বিষয় কাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।