ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাসপাতাল নয় যেন টর্চার সেল

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
হাসপাতাল নয় যেন টর্চার সেল রোগীদের টর্চার রুম। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘রাজধানীর আদাবর এলাকায় মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ও ধস্তাধস্তি করে একটি কক্ষে নিয়ে যান হাসপাতালের ছয় কর্মী। পরে হাসপাতালের দোতলার ওই কক্ষে নেওয়ার পর তাকে মেঝেতে উপুর করে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়।

 

এ হাসপাতালে যেসব রোগী আসতেন তাদেরকে প্রথমত এই রুমটাতে নিয়ে আসা হতো এবং যারা বেশি উত্তেজিত হতো তাদেরকে এখানে এনে মারধর করা হতো। গতকালও সোমবার (৯ নভেম্বর) ওই রোগীকে (আনিসুল করিম শিপন) আমাদের অফিসের কয়েকজন ভাইয়ারা জোরপূর্বক ধরে নিয়ে আসেন এবং তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে একপর্যায়ে সে মারা যায়।

আমাদের মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরিফ মাহমুদ জয় ভাই, রেদোয়ান সাব্বির ভাই শেফ মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও হাসান ভাই উনারাই মূলত রোগীদের এই রুমে নিয়ে আসেন আর বেশি উত্তেজিত হলে তাদেরকে মারধর করেন। এরপর রোগীরা শান্ত বা স্বাভাবিক হলে পরে তাদের বেডে নিয়ে যাওয়া হয়। ’

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এমনই সত্যতা স্বীকার করলেন মাইন্ড এইড হাসপাতালের বাবুর্চি শারমিন আক্তার।  ফাঁকা বেডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হাসপাতালে বাবুর্চি রুমা আক্তার।  রোগীশূন্য বেডগুলো পড়ে আছে।  পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি করা হচ্ছে হাসপাতালের রুম। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তল্লাশি করা হচ্ছে কাগজপত্র।  যে রুমটিতে রোগীদের টর্চার করা হয়।  আদাবর এলাকায় মাইন্ড এইড হাসপাতাল।  রোগীদের বিনোদনের জন্য হাসপাতালে রয়েছে বিলিয়ার্ড টেবিল ও কেরাম খেলার ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।