ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: বিদেশ থেকে এলেই কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা চাই বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখবো।

সেজন্য পরীক্ষা করে বিদেশফেরতদের আমাদের দেশে ঢুকতে দেবো।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সামনে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। ডাক্তার ও নার্সরা আগের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ। করোনা পরীক্ষার জন্য সক্ষমতার উন্নয়ন হয়েছে। দেশে করোনা পরীক্ষার কিটের কোনো অভাব নেই। আমরা আগের তুলনায় ভালো আছি।

ইতালি, ফ্রান্সসহ যেসব দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে সেসব দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেই। বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের জন্য কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশ থেকে এলেই কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি সেটা হলো মাস্ক পরিধানের বিষয়ে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে আমরা পরামর্শ দিয়েছি যে, সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করতে হলে সবাইকে মাস্ক পরে আসতে হবে। এ উদ্যোগটি সবাই প্রশংসা করেছে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত মাস্ক সত্যিকারের কার্যকরি একটি ব্যবস্থা। সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো এবং মাস্ক কীভাবে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো কাজে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হোক সেটা হাসপাতাল, আদালত, পুলিশ স্টেশন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হোক সেখানে যেন সবাই মাস্ক পরে সেবা নিতে আসেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে এবং স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ এ কোভিড-১৯ মোকাবিলায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।