ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা: হাসপাতালে ৩০, ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০
করোনা: হাসপাতালে ৩০, ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন

ঢাকা: সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন, এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হলেও ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা শূন্য। 

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত সরকারের সবশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে (এনডিআরসিসি) বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে।

এদিন তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলোও জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য এ পর্যন্ত দেশে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৫৩৮ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ১১ হাজার ৮২৩ জন, দু’টি সমুদ্রবন্দরে ৮ হাজার ২৮৫ জন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ৭ হাজার ২৯ জন এবং অন্যান্য চালু স্থলবন্দরগুলোতে ৩ লাখ ৪ হাজার ৪০১ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

‘দেশে আজ ১৯ মার্চ পর্যন্ত হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন, এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬ জন ও অন্য বিভাগে ৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা শূন্য। ’

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ জন এবং ১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।  

সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২ হাজার ৬৯৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৫ জন। এছাড়া দেশে হাসপাতালগুলোতে কোয়ারেন্টিনে অবস্থানরত রোগীর সংখ্যা ১৫ জন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জনস্বার্থে আইনের প্রয়োগ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা, উপধারা প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হতে পারে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালনায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি ও সৌদি আরবে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি।

ইতালিসহ ইউরোপের অন্য আক্রান্ত দেশ থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ডকুমেন্টেশন শেষে তাদের গৃহ কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং গৃহ কোয়ারেন্টিনে করণীয় নির্দেশনা দিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।

সার্কভুক্ত দেশের সরকার প্রধানরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রয়াসে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।

অনঅ্যারাইভাল ভিসায় বাংলাদেশে আগত দু’জনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২০ 
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।