ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শুরু হচ্ছে বিমসটেক ট্র্যাডিশনাল হেলথ কেয়ার এক্সপো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
শুরু হচ্ছে বিমসটেক ট্র্যাডিশনাল হেলথ কেয়ার এক্সপো সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রথমবারের মতো ঢাকায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিমসটেক ট্র্যাডিশনাল হেলথ কেয়ার এক্সপো-২০২০।

ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ও বাংলাদেশ আয়ুর্বেদ ফাউন্ডেশন (বিএএফ) যৌথভাবে এ এক্সপোর আয়োজন করছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। আরও ছিলেন আয়োজনের মুখ্য সমন্বয়ক এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বিএএফের সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা, আইসিসির স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগের প্রধান সুজয় ঘোষ, বিমসটেক সদর দফতরের জনস্বাস্থ্য খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক মিসেস চিমি পেম এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মুজতবা আহমেদ মুরশেদ।

এ সময় জানানো হয়, আসছে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হবে এ আয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনের উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। তিন দিনব্যাপী এ এক্সপো সম্পন্ন হবে চলতি মাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)।

সংবাদ সম্মেলনে বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেন, বিমসটেক ১৪টি খাত নিয়ে কাজ করে, তার মধ্যে স্বাস্থ্যখাত একটি। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন নিয়ে কাজ করা সেই খাতেরই অংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব মতে, এই অঞ্চলের প্রায় ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন ব্যবহার করে। শুধু রোগ উপশম না বরং ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে। এই ওষুধ অন্য থেকে দামে কম। তাই আমাদের চেষ্টা এ অঞ্চলে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের আরও বিস্তার করা। গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট সহযোগিতার মাধ্যমে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের গবেষণা আরও বৃদ্ধি করা আমাদের উদ্দেশ্য।

আয়োজনের মুখ্য সমন্বয়ক এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন ট্রাডিশনাল মেডিসিনের কথা বলা হচ্ছে। এই মেডিসিন নিয়ে ক্ষুদ্র করে হলেও আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের স্মৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করবো।

বিএএফের সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, আয়ুর্বেদিক  ইউনানি এ ধরনের হারবাল পণ্যের যারা প্রস্তুতকারক আছেন, তাদের নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ এই এক্সপো। আমাদের দেশে ট্রাডিশনাল মেডিসিনের ১২শ কোটি টাকার বাজার রয়েছে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার টন হারবাল উপাদান ব্যবহার করা হয়। বিমসটেক দেশের এসব পণ্যের ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হবে। সর্বোপরি বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এসব পণ্য নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়বে। আরেকটি দিক হচ্ছে ইন্ড্রাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে একটা চরিত্র তৈরি করবে এই এক্সপো।

আয়োজকেরা জানান, এ এক্সপোতে ভারত ও বাংলাদেশের ৪০টি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল দেবে। এছাড়া বিমসটেক ভুক্ত অন্য রাষ্ট্র এবং বিমসটেক এর বাইরেও বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাডিশনাল মেডিসিন গবেষক, প্রস্তুতকারক, বিক্রেতা এবং একাডেমিক প্রফেশনালসরা অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০,২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।