ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢাকায় ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক সম্মেলন ২৮ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ঢাকায় ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক সম্মেলন ২৮ জানুয়ারি

ঢাকা: টাইফয়েড, কলেরা, অপুষ্টি, অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘১৫তম ডায়রিয়া ও পুষ্টি বিষয়ক এশীয় সম্মেলন (অ্যাসড)’ আগামী ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। 

অ্যাসড সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘টাইফয়েড, কলেরা, অপুষ্টি, অন্ত্রের অন্যান্য রোগের সঙ্গে পুষ্টি সংশ্লিষ্ট ব্যাধির সম্পর্ক: মানবিক বিপর্যয়ের যুগে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ। ’

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও অ্যাসডের সভাপতি ড. ফেরদৌসি কাদরি।

তিনি বলেন, তিন দিনের এ সম্মেলনে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার ৪৫০ জনের বেশি সংখ্যক অংশগ্রহণকারী, ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারক উপস্থিত থাকবেন।  

সম্মেলনে ৮১টি প্রতিবেদন ও ১১৩টি পেপার উপস্থাপন করা হবে। তিন দিনের এ অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সেশনের বাইরে ১৮টি দেশের গবেষক, স্বাস্থ্য পেশাজীবী তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।  

আইইডিসিআরের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ক্লেমেন্স বলেন, আমরা ঢাকায় ১৫তম অ্যাসডে মিলিত হতে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হবে লাখ লাখ মানুষ যেসব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছে, তা সমাধানে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন, জ্ঞান বিনিময় ও দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কলেরা নিয়ে আমাদের গবেষণা চলছে, ইতোমধ্যে স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা জেনেছি, রাজধানীর ছয়টি স্থানে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেশি। এসব এলাকাসমূহে ১২ লাখ মানুষকে কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে আইইডিসিআরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার মিলিয়ন কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

অ্যাসড সম্মেলনে চারটি বিশেষ সিম্পোজিয়াম রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন: এশিয়া ও আফ্রিকাতে ব্যবহারের সম্ভাবনা, ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলকরণ: উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জ, এনভায়রনমেন্টাল এন্টারোপ্যাথি-আন্ত্রিক মাইক্রোবায়োটা-শৈশবকালীন অপুষ্টি এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও আন্ত্রিক সংক্রমণের চিকিৎসার ওপর প্রভাব।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।