ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশ্যক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশ্যক অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

শেকৃবি: দক্ষ ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিমান উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। খাদ্যে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। সময় এসেছে এখন খাদ্যে পুষ্টিমান নিরুপণ করার।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সেচ ভবনে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) প্রধান কার্যালয়ে খাদ্যবৃত্তিক পুষ্টি বিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের (বারটান) আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।

বারটানের পরিচালক কাজী আবুল কালাম এতে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, নিরাপদ খাদ্যের দিকে আমাদের ধাবিত হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬ শতাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বর্হিবিশ্বে খাদ্য গ্রহণ করার আগে ক্যালরি পরিমাপ করে খাদ্য গ্রহণ করে। জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়নে তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক মহাম্মদ মাইদুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প ২৯টি জেলার হাওর-বাওর ও দারিদ্রপ্রবণ ৮৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন ও পুষ্টি সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী আবুল কালাম প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ফলে আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করবেন তা স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে খাদ্য, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞান জনগণকে অবহিত করার ফলেই আজকের এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সার্থক হবে।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বারটানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জ্যোতি লাল বড়ুয়া বলেন, মারাত্মক অপুষ্টিজনিত খর্বাকৃতি ও কৃশকায় বাংলাদেশে প্রকট আকারে বিদ্যমান। জন সাধারণের পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতার অভাব, রন্ধন প্রক্রিয়ায় পুষ্টির অপচয় ও খাদ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় পুষ্টির অপচয়ের অন্যতম কারণ।  
     
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বারটানের বিজ্ঞানী ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারটানের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. কাওসার আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।