ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুস্থ কিডনি, সবল নারীতেই সামাজিক মুক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
 সুস্থ কিডনি, সবল নারীতেই সামাজিক মুক্তি কিডনি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: 'সুস্থ কিডনি সবল নারী, নারী শিক্ষায় নারীর মুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক মুক্তি' এই  স্লোগান নিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিশ্ব কিডনি দিবস।

কিডনি সেবায় নারীদেরকে অগ্রাধিকার বাড়াতে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, ক্যাম্পস ও কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এক আলোচনা সভা ও একটি বণার্ঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ক্যাম্পস সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ, ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. ফিরোজ খানসহ প্রমুখ।

সভায় তারানা হালিম বলেন, নারীদের নিজ পরিবারকে বিব্রত না করার ব্যাপারে আমরা অতি উৎসাহী। আমরা কখনও চাই না যে পরিবারের সদস্যরা সবচেয়ে নারীদের নিয়ে চিন্তিত থাকুক ও তাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করুক। তাই আমরা রোগ হলেও তা নিজের মধ্যে চেপে বসে রাখি। এজন্য আমাদের রোগ বেড়ে যায়। দেশে এখনও নারীকে অবহেলা করে তার স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া হয় না। কিন্তু পরিবারে মা অসুস্থ থাকলে সে পরিবারই কিন্তু পঙ্গু হয়ে যায়। বক্তব্য রাখছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।  ছবি: সুমন শেখতিনি আরো বলেন, বিশ্বে নারীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নারীরা বিধবাকালীন ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সরকার সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। নারীনীতি, তাদের সুরক্ষায় আইনসহ ওয়ানস্টপ সেন্টারও আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের এতো অবদানের পরও যদি আমরা তাদের স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর না দেওয়া তা হলে ক্ষতিটা আমাদেরই হবে।

 

বক্তারা বলেন, নারীদের কিডনি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া যে পরিমাণ কিডনি রোগী দেশে রয়েছে সরকার তাদের চিকিৎসার আওতায়ে আনতে গেলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট অতিক্রম করবে। তাই চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করা বেশি সহজ কিংবা অধিকতর উপযোগী। বর্তমানে দেশে প্রায় দুই কোটি কিডনি রোগী আছে। বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সেখানে যদি আমরা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করি, তাহলেই কিডনি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া আমাদের নারীদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে আমরা ২০০৬ সাল থেকে দিবসটির আয়োজন করে থাকি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।