ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

লক্ষ্মীট্যারা বলে কিছু নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
লক্ষ্মীট্যারা বলে কিছু নেই সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: শিশুদের চোখের দৃষ্টিজনিত সমস্যাকে অনেক সময় গ্রামাঞ্চলে লক্ষ্মীট্যারা বলে অভিহিত করে অবহেলা করা হয়। কার্যত লক্ষ্মীট্যারা বলে কিছু নেই। এ ধরনের ভুল ব্যাখার কারণে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে মত দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা 'অরবিস' এর উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।  

চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, লক্ষ্মীট্যারার চিকিৎসা সঙ্গে সঙ্গে না করালে মস্তিষ্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তখন শুধু চোখ নয়, জীবনও বিপন্ন হয়ে উঠতে পারে। লক্ষ্মীট্যারা বলে ভালো কিছু নেই।  

ধারালো খেলনা, পেন্সিল বা অন্য কোন সুচালো বস্তু নিয়ে শিশুদের খেলা থেকে বিরত থাকা ও আঘাতের কারণে শিশুদের দৃষ্টিচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।  

আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা দেবে অরবিসের ফ্লাইং আই হসপিটাল। একই সঙ্গে ১২০ জন রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার ছাড়াও ৩১৫ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং নার্স ও বায়োমেডিকেল টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  

অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আভা রহমান বলেন, চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। তবে প্রশিক্ষণ সব সময়ই প্রয়োজন। এ ধরনের ক্যাম্পেইন চক্ষু চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।  

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র মেডিকেল স্পেশালিস্ট ডা. লুৎফুল হুসাইন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।