ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শনিবার সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
শনিবার সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: শিশুর রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আগামী ৫ আগস্ট শনিবার সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এদিন ৫ থেকে ৫৯ মাস বয়সী দুই কোটি ২৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

একই সাথে শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।

ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ আরো ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দু’জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, খেয়াঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দন, রেলস্টেশনে অবস্থান করবে।

একটি শিশুও যেন ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক সকলের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য পরবর্তীতে আরও চার দিন (০৬-০৯আগস্ট) বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

কর্মসূচির উদ্দেশ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হলে শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখা, মৃত্যুর হার কমানো, স্বাভাবিক বেড়ে উঠা নিশ্চিত এবং ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমাতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল অত্যন্ত কার্যকর।   

শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরের তরল ওষুধ খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় খাওয়ানো ঠিক হবে না। ৬ মাসের কম বা ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

কর্মসূচি সফল করতে বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা হয়েছে।

কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা চেয়ে প্রতিমন্ত্রী ক্যাম্পেইন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যখন এই কার্যক্রম শুরু করেন তখন ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার উন্নীতকরণের ফলে বর্তমানে রাতকানা রোগের হার ১ ভাগে নেমে এসেছে।   

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।