ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কাউন্সিলিংই পারে মাদকের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
কাউন্সিলিংই পারে মাদকের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করতে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: একমাত্র কাউন্সিলিংই পারে তরুণদেরকে মাদকের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করতে, এমনটি মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
 
তিনি বলেন, মানসিক অস্থিরতার জন্য মানসিক অসুস্থতাই দায়ী।

তারুণ্যের বিভ্রান্তি, বিপথগামিতার জন্য দায়ী মাদকের ব্যবহার এবং এর একমাত্র সমাধান কাউন্সিলিং। অভিভাবকদের সন্তানকে বেশি সময় দিতে হবে।
 
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের স্পেশাল সেমিনার রুমে ‘আগ্রাসন ও সহিংসতার মনস্তত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট এবং বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সেমিনারটি।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইক্রিয়াটিস্টস এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅ্যাবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামান মজুমদার এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
 
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মাহমুদুর রহমান। মূল বক্তব্যের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন।
 
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শারীরিক অসুস্থতা মানসিক অসুস্থতার চেয়ে অনেক বড়। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে সামাজিক সুস্থতা। এই সামাজিক সুস্থতার জন্য অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে বলেও উপাচার্য উল্লেখ করেন।
 
গত ১০ অক্টোবর ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো এ সেমিনার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- ‘মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৬
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।