ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ভিডিও কনফারেন্স

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ভিডিও কনফারেন্স মোহাম্মদ নাসিম / ফাইল ফটো

ঢাকা: চিকিৎসকরা কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে সেবা দিচ্ছেন কিনা তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয় থেকে প্রতিদিন মনিটরিং করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।   

এ লক্ষ্যে সব প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।



উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক উপস্থিতি মনিটরিং করতে সিভিল সার্জনদেরকে আরো সক্রিয় ও কার্যকর হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসক না থাকলে তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলার সিভিল সার্জনদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিকিৎসকদের উপস্থিতির উপর নজরদারি বাড়াতে মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সভা করে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন মোহাম্মদ নাসিম।

মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে এক সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে উপজেলা পর্যায়ে ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ এবং তাদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করায় আগের তুলনায় এখন হাসপাতালে রোগীরা বেশি সেবা পাচ্ছেন।

সরকার এ তদারকি ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে চায় উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হাসপাতালে রোগী সেবা না পাওয়ার অভিযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সময়মতো চিকিৎসক পাওয়া যায় না, এমন অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সংসদ সদস্যদেরকে নিজ নিজ এলাকায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদেরকে প্রতিমাসে একবার হাসপাতালে সভা করে যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়টিও তুলে ধরতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে স্থাপিত বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহারের হার বেড়েছে। রোগীদের অভিযোগ জানানোর জন্য হাসপাতালে স্থাপিত মোবাইল নম্বর ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে এবং অধিদফতর থেকে দ্রুত অভিযোগ নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

এর আগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি ও বারডেম হাসপাতালের প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, বারডেম’র চেয়ারম্যান ডা. সারওয়ার আলী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহার প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব
দেন।

পরে জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহ্লা খাতুন ও অধ্যাপক ডা. রওশন আরার নেতৃত্বে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ইনস্টিটিউট অব রিপ্রডাক্টিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ এর এক প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে মোহাম্মদ নাসিম এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক  ডা. দীন মো. নুরুল হকসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।