ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কম্পিউটারে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ৪ মিনিটের ব্যায়াম

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
কম্পিউটারে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ৪ মিনিটের ব্যায়াম

দিনে দিনে আরও কম্পিউটার পৌঁছে যাচ্ছে টেবিলে টেবিলে। এরই মধ্যে কম্পিউটার নির্ভরও হয়ে পড়েছে অনেক কাজ, অনেকের কাজ।

ফলে দিনের কর্মঘণ্টার অনেকটা সময়ই কেটে যাচ্ছে কম্পিউটারে। আর কাজ শেষেও আছে ফেসবুক। অনলাইনে খবর পাঠ বাড়ছে। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে কম্পিউটারে সময় কাটানোর সময়। উন্নয়নের ইন্ডিকেটর হতেই পারে এই এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলছেন কম্পিউটারে সময় কাটানো যত বাড়ছে, সমান কিংবা তারও চেয়ে গতিতে বাড়ছে এই কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি। আপাত বা তাৎক্ষণিক সমস্যা না হওয়ায় অনেকেই হয়তো এতে গা করছেন না। কিন্তু স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বার উচ্চারণ করছেন সচেতনতার কথা। এ নিয়ে তারা নানাবিধ সচেতনতামূলক পরামর্শও দিচ্ছেন। কাজের ব্যস্ততা ভেবে সে পরামর্শ মোতাবেক কাজটি করতে যাতে সময় বেশি না লেগে যায় সেদিকটা ভেবেও দিচ্ছেন ব্যবস্থাপত্র। তেমনই একটি ব্যবস্থা দিচ্ছে বাংলাহেলথ টিপস নামের একটি সংগঠন। তাতে মাত্র চার মিনিটের ব্যায়াম দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কম্পিউটার ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতেই এই ব্যায়াম। তাহলে দেখা যাক ব্যায়ামগুলো কি। ছবিতে দেখুন:



খুব সহজ ও স্বাভাবিক। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করছেন? তাহলে এইবার একটু থামুন। ১ নং ব্যায়ামটি দেখুন। পেছনের চেয়ারে হেলান দিয়ে দুই হাতের আঙ্গুল আটকে নিন হাতের তালুর দিকটি বাইরে রেখে। এবার দুই হাত সোজা করে টান টান হয়ে থাকুন ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-২: হাত দুটো ওভাবেই আটকে রেখে সোজা মাথার উপরে তুলে দিন। আর চেয়ার ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। পীঠ টান টান রেখে এভাবে কাটিয়ে দিন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-৩: এবার আঙ্গুল খুলে হাত দুটো একটার সঙ্গে অন্যটি আড়াআড়ি রেখে ঘাড়ের পেছনে নিয়ে যান। পা’দুটো একটুকু ফাঁকা করে বাম দিকে সামান্য ধনুকের মতো বাঁকা করে ফেলুন কোমড় থেকে মাথা পর্যন্ত। এভাবে থাকুন ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-৪: ফের দুই হাতের আঙুল বেঁধে মাথার উপরে দুই হাত তুলে দিন। এভাবে রাখুন ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-৫: এবার রিল্যাক্সড। তবে বসে পড়বেন না যেনো। দাঁড়িয়েই দুই হাত ছেড়ে দিন দুই দিকে একটু রিল্যাক্সড ভঙ্গিতে কাঁধ দুটিকে সামান্য উঁচিয়ে রাখুন। কাটান ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড।

কী সস্তি লাগছে একটু। বেশতো।

ব্যায়াম-৬: এবার আরও রিল্যাক্সড হয়ে হাত দুটো পেছনে নিয়ে কব্জির কাছে একটি দিয়ে অন্যটি ধরে রাখুন। অতি সাধারণ গাছাড়া ভঙ্গিমা। তবে এটাও ব্যায়াম। ঘাড় থেকে মাথাটিকে ডান দিকে ইষৎ কাত করে রাখুন। আর থাকুন ১০ থেকে ১২ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-৭: এবার কিন্তু পাক্কা ১০ সেকেন্ডের কাজ। কিন্তু অতি সহজ। দুই হাত সামনে এনে তালুর সঙ্গে তালু মিলিয়ে পেট আর বুকের ঠিক মাঝামাঝিতে আঙুলগুলো উর্ধ্বমুখী করে সোজা করে রাখুন।

ব্যায়াম-৮: এবারও একই ভঙিমায় তালুর সঙ্গে তালু চেপে রাখা। তবে আঙুলগুলো এবার নিচের দিকে। এবারও পাক্কা ১০ সেকেন্ড।

কী অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে থেকে ক্লান্ত! ক্ষতি নেই বসে পড়ুন।

ব্যায়াম-৯: চেয়ারে বসেই পীঠ টান টান করে এক হাত সোজা নিচে রেখে অন্যহাত উপরের দিকে তুলে দিন। উপরের হাতটি ইষৎ বাঁকা করে রাখুন। এভাবে ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-১০: এবার বাম পা তুলে দিন ডান পায়ের ওপর। পা দুটোকে যে দিকে রাখলেন ঠিক তার উল্টোদিকে ঘাড়টিকে ঘুরিয়ে দিন। একটি হাত দিয়ে পায়ের হাঁটুর কাছে একটু চাপ দিয়ে রাখুন। অন্য হাত কোমরে চেপে ধরুন। এভাবে থাকুন ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড। এবার ঘাড়টা ঘুরিয়ে দিন অন্য দিকে। স্বভাবতই পা দুটো ছড়িয়ে যাবে তার উল্টো দিকে। আর অন্য হাতটি ব্যবহার করতে হবে হাঁটুর কাছে চাপ দেওয়ার জন্য। এভাবেও ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড পার করে দিন।

ব্যায়াম ১১: পীঠটাকে চেয়ার হেলান থেকে তুলে আনুন। সোজা বসে হাত দুটোকে কোমরের দুই দিকে চেপে ধরুন। পীঠটাকে সটান সোজা করে দিন। আর ঘাড়টাকেও সোজা রেখে মুখটা উঁচিয়ে রাখুন। কাটিয়ে দিন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড।

ব্যায়াম-১২: এবার আসলে ব্যায়াম শেষ। সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই দিকে হাত ছড়িয়ে হালকা আরাম করে দাঁড়ান। ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড থাকুন।

কী কাজের অনেক চাপ। এখুনি বসে পড়তে হবে। আরও দুই-তিন ঘণ্টা টানা কাজ করতে হবে। করুন না। কে আটকায়। তবে ঘণ্টা দুয়েক পর আবার একটু ব্যায়ামটা করে নিন। মোটেইতো চার মিনিট।

সামান্য সচেতন থাকলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্তি মিলবে, সে তো আপনারই!

বাংলাদেশ সময় ০৯১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।