ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাঝে মাঝে চর্বিযুক্ত খাবার খেতে পারবে নারী!

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৪
মাঝে মাঝে চর্বিযুক্ত খাবার খেতে পারবে নারী! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চর্বিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কথা সবার জানা। এজন্য সকলকে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এখন থেকে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে পুরুষদের। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী জার্নাল ‘সেল প্রেসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার নারীদের তুলনায় পুরুষদের অনেক বেশিই ক্ষতি করে।

কীভাবে চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের পর পুরুষ ও নারীর মস্তিষ্কে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং কী কারণে ভারি চর্বিযুক্ত খাবার খাবার গ্রহণের ফলে পুরুষ অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকে তা-ও তুলে করা হয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে।

গবেষণাটি পরিচালনা করে লস অ্যাঞ্জেলেসের সেডার-সিনাই ডায়াবেটিস অ্যান্ড ওবেসিটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক ডেবোরাহ ক্লেগ বলেন, আমরা গবেষণা করে দেখেছি, নারী ও পুরুষের চর্বিযুক্ত খাবার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া একদমই ভিন্ন।

তাই এখন থেকে খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ লিঙ্গ ভেবে দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গবেষকরা বলেন, নারীকে মাঝে মাঝে ভারি চর্বিজাতীয় খাবারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সাফ ‘না’ বলতে হবে পুরুষকে।

ক্লেগ গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গবেষণায় যে সিদ্ধান্ত পেয়েছি, তাতে এখন থেকে রোগীর খাবারের পরামর্শ ও পুষ্টির ব্যাপারে লিঙ্গ বিবেচনায় নিয়ে মতামত দিতে হবে।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে নারী ভোজনরসিক হতে চাইলে আমরা এ ব্যাপারে আমরা হয়তো খানিকটা ছাড় দিতে পারবো। কিন্তু এ ব্যাপারে পুরুষদের ওপর জোরালো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশেষত যে পুরুষরা হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিস ২ টাইপে ভোগেন তাদের কোনোভাবেই চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের অনুমতি দেওয়া যাবে না।

ক্লেগ এবং তার দল আবিষ্কার করেন, মস্তিষ্কের প্রদাহের অন্যতম একটি কারণ হলো, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ। পাশাপাশি ব্লাড সুগার, শরীরের অন্য অঙ্গে যন্ত্রণা এমনকি টিস্যুর অস্বাভাবিক গঠনও অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের জন্য দায়ী।

গবেষকরা পুরুষ ইঁদুরদের মধ্যে যেগুলোর এরকম সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর ওপর পরীক্ষা চালান। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, এ ধরনের সমস্যায় ভোগা পুরুষ ইঁদুরের হৃদপিণ্ডের সক্রিয়তাও কম।

পুরুষ এবং নারী মস্তিষ্কে পার্থক্য হয় মূলত এসিডের কারণে। একই এসিড পুরুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেললেও নারীদের ফেলে না। যে কারণে তারা এই ঝুঁকিমুক্ত থাকেন।

এছাড়া, লিঙ্গ সাপেক্ষে মস্তিষ্কের আচরণের যে পার্থক্য তা চর্বির সঙ্গে সম্পর্কিত বলেও জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।