ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

উপকারী ঘৃতকুমারী

মোকারম হোসেন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪
উপকারী ঘৃতকুমারী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নাম থেকেই গাছটির আশ্চর্য গুণাগুণের সন্ধান মেলে। এ কারণে খ্যাতিও বিশ্বজোড়া।

প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলে ঘৃতকুমারীর বহুমুখী ব্যবহারের কথা জানা যায়।

চিরঞ্জীব বনৌষধি গ্রন্থে শিবকালী ভট্টাচার্য শুধু একটি গুণের কথা জানিয়েছেন এভাবে- বয়স হলেও বার্ধক্যের রূপ প্রকাশ পায় না, এজন্য নাম কুমারী, তরুণী কিংবা ঘৃতকুমারী।

ঢাকায় পথপাশে পাতার নির্যাসের তৈরি শরবত বিক্রি হয়। পিচ্ছিল রসে চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু করা হয়। বলধা গার্ডেনের সাইকিতে প্রবেশপথের বাঁপাশে ঘৃতকুমারীর (Aloe indica) ঘর রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগার লাগোয়া ছোট্ট বাগানেও দেখা যায়। অন্যান্য বাগান ও কারো কারো ব্যক্তিগত সংগ্রহেও রয়েছে।

ঘৃতকুমারী গাছ এক থেকে দেড় ফুট উঁচু হয়। পাতা পুরু, নিচের দিকটা আংশিক বৃত্তাকার, ওপর সমান, কিনারা করাতের মতো কাটা, দীর্ঘ নয়, ভেতরের মাংসল শাঁস পিচ্ছিল লালার মতো, গন্ধ  উৎকট, স্বাদ তেতো।

মঞ্জরিদণ্ড সরু, লম্বাটে। ফুল শীতের শেষে, ফল তারপর। গাছ থেকে সংগৃহীত হলুদ রঙের আঠায় তৈরি মুসব্বর ভেষজ ওষুধে ব্যবহার্য। ঘৃতকুমারী শুক্রমেহ, গুল্মরোগ, অগ্নিমান্দ্য, ক্রিমি, অর্শ্বরোগ, চর্মরোগ ও গ্রহণী রোগসহ অনেক জটিল রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। টবে চাষযোগ্য। ইংরেজি নাম- Aloe vera ।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।