ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রাথমিক চিকিৎসাতেই রোধ হতে পারে শিশুর অন্ধত্ব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৪
প্রাথমিক চিকিৎসাতেই রোধ হতে পারে শিশুর অন্ধত্ব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একটু সচেতনতা, চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে রোধ করতে পারে শিশু অন্ধত্ব এবং আলো দিতে পারে লক্ষ শিশুর চোখে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত  ‘শিশু অন্ধত্ব’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এই মতামত দেন।



তারা বলেন, প্রতিরোধযোগ্য শিশু অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা, যা দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং আর্থ-সামাজিক বৈষম্য বাড়ায়।

কর্মশালায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অফথালমোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এনায়েত হোসেন শিশু অন্ধত্বের নানা দিক, সেগুলোর প্রতিরোধ, নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ, ডিরেক্টর প্রোগ্রাম মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও ডা. নাহিদ ফেরদৌসী এবং বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্য তুলে ধরে বক্তারা জানান, বাংলাদেশে প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ০.৭৫ জন অন্ধত্বের শিকার। বাংলাদেশ শিশু অন্ধত্ব গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, দেশে মোট ৪৮ হাজার শিশু অন্ধ, যাদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের ক্ষেত্রেই এটি প্রতিরোধ করা যেত। এছাড়া, দেশে প্রায় ১৩ লাখ শিশু দৃষ্টিত্রুটি এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ’ শিশু ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় আক্রান্ত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৩ শ’ ৩৬ জন এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে অন্ধ ও ক্ষীণদৃষ্টি শিশুরা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়াসহ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং অধিক দারিদ্র্যের কবলে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা, প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং চিকিৎসা-পরবর্তী যত্ন রক্ষা বা পুনরুদ্ধার করতে পারে এসব শিশুর দৃষ্টিশক্তি।

পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, শিশু অন্ধত্ব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।