ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকে ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে মদের বোতল, আটক ৫ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
ঢামেকে ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে মদের বোতল,  আটক ৫  মদের বোতলসহ আটক ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এক ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে অভিযান চালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ওই ওয়ার্ড মাস্টারের কক্ষ থেকে মদের খালি বোতল, পুলিশে কেসের সিল পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজের কক্ষ ও হাসপাতালের নতুন ভবনে জিল্লুর রহমানের কক্ষে অভিযান করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের কক্ষ থেকে মদের খালি বোতল, পুলিশ কেসের সিল, একটা দা, বেসরকারি হাসপাতালের ভিজিটিং কার্ড, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোবাইল নম্বরের তালিকা জব্দ করা হয়।  

এছাড়া ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান বিভিন্নজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে হাসপাতালে কাজের সুযোগ দেন বলে অভিযোগ পান শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক শিক্ষার্থী বলেন, খবর পেয়েছি জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা নিতে আসেন তারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। সে সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতে আমরা জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের কক্ষে অভিযান করি। তিনি স্বীকার করেন বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রোগী পাঠিয়ে প্রত্যেক রোগী বাবদ ১ হাজার টাকা করে পেতেন তিনি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের রুমে কেন মদের বোতল পাওয়া যাবে? তার কাছে কেন পুলিশ কেসের সিল পাওয়া যাবে? পুলিশ কেসের সিল তো চিকিৎসকের কাছে থাকবে। ছাত্রলীগ এবং আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামের তালিকা ও মোবাইল নম্বর কেন পাওয়া যাবে? বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কার্ডসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তার কাছে কেন থাকবে? 

এছাড়া নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার জিল্লুর রহমান লোকজনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা করে নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন অভিযোগে তাকে ধরে আনা হয় প্রশাসনিক ব্লকে। পরে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকেও আনসার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  
এছাড়া নতুন ভবন থেকে আরও একজনকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীরা পরিচালকের কাছে অভিযোগের সঠিক তদন্ত দাবি করেন এবং তাদের বরখাস্তের দাবি জানান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের বলেন, আপনারা যেসব জিনিস তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন সেগুলো আমাদের কাছে জমা দিয়ে যান। আমরা একটি কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা সেই ব্যবস্থাই নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।