ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ট্রেইনি-ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
ট্রেইনি-ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

ঢাকা: সারাদেশের পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চারটি দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শহীদ মিনার থেকে তাদের কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়।

সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা এসব চিকিৎসকরা। সেখানে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানবন্ধন করেন তারা।

এরপর দুপুরের দিকে পদযাত্রা করে অবস্থান নেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তায়।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন জানান, গত ৯ মাস ধরে ট্রেইনি চিকিৎসকরা ভাতা বঞ্চিত। সে সঙ্গে প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট এবং ডিপ্লোমা ট্রেইনিদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাতা আরেক দফা বাড়ানোর কথা জানুয়ারি থেকে। সে সঙ্গে ইন্টার্নদেরও ভাতা বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়েই রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের পরিবারের ভরণপোষণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের চারদফা দাবি না মেনে নিলে ৪৮ ঘণ্টার পর কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।  

দাবিগুলো হলো- পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার করতে হবে। এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করতে হবে। বিএসএসএমইউ এর অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন পরিষদের সভাপতি জাবের মো. আব্দুল্লাহ বলেন, পোস্টাগ্রাজুয়েটদের সঙ্গে আমরা মিলিত হয়ে আমাদের ভাতা ৩০ হাজার করার দাবি জানাচ্ছি। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। আজ বাংলাদেশের সব মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এক হয়েছি। এক বছর আগে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। পাঁচ মাস ধরে আমরা সব মেডিকেলের পরিচালক বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস পাইনি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছি তবে জরুরি বিভাগে আমাদের চিকিৎসক থাকবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে একটি সূত্র জানান, পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারের সংখ্যা ঢাকা মেডিকেলে শতাধিক।

এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে ৪ দাবি ও কর্মবিরতির কথা জানান এসব চিকিৎসকরা।

পরবর্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের উদ্দেশে বলেন, আমি তোমাদের কাজটা হাতে নিলাম। কাল বা পরশু সময় করে একটি মিটিং করবো বিষয়টি নিয়ে। যত দ্রুত সমাধান করা যায় সেটি আমি করবো। এরপর তোমাদের জানাবো।

তিনি বলেন, আগে তোমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কি হয়েছে সেটি আমাকে বলবে না। আমি নিজে চিকিৎসক, কাজেই আমি তোমাদের সবকিছু জানি। সব চিকিৎসকের মানসম্মান নির্ভর করে তোমাদের ওপর। তোমরা যদি ভালো কাজ করো তাহলে সবাই আমার প্রশংসা করবে। দরকার হলে আমি এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো। কারণ তোমাদের ভালোভাবে রাখতে না পারলে আমি কাজ আদায় করতে পারবো না, জনগণ চিকিৎসা সেবা পাবে না। কাজেই তোমরা যে যার ঘরে চলে যাও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।