ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে মেডিসিন সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
বিএসএমএমইউতে মেডিসিন সোসাইটির বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বাংলাদেশ স্টেম সেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির ৭ম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ‘ন্যাসভ্যাক স্মার্ট ড্রাগ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান।  

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্টেম সেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টেম সেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মাহাতাব আল মামুন স্বপ্নীল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের কৃষির পাশাপাশি স্বাস্থ্য গবেষণাও জোরালোভাবে শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নির্দেশে গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা গবেষণা করে স্বল্পমূল্যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে গবেষণার মান ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এ ধরনের সম্মেলন বেশ কাজে লাগবে। রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিষেধকের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শিগগিরই মেডিকেল জেনেটিক বিভাগ চালু করা হবে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশের লিভার বিশেষজ্ঞরা কিউবা ও জাপানের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসায় এই ইমিউনথেরাপিটি উদ্ভাবন করেছেন যা বাংলাদেশ ও জাপানে পরিচালিত ফেইজ-১, ২ ও ৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ন্যাসভ্যাক নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক জার্নালে ২০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও বিনিময়ের মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষ বাড়ানো ও দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।

সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের ইহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, কিউরার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলোজি বিশেষজ্ঞ ডা. জুলিয়া সিজার এগুলার রুবিডো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।