ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু রোববার ফাইল ফটো

ঢাকা: আগামী রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে চট্টগ্রামের বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহরে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।  

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিডিডিআর,বি-র বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বন্দর থানার অধীনে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর) বসবাসকারীদের জন্য কলেরা টিকাদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামে মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের খাওয়ানো হবে। গর্ভবতী নারী ও যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন তারা ব্যতীত সবাই এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।

কলেরা একটি ডায়রিয়া জাতীয় খাদ্য ও পানি বাহিত রোগ, যার প্রাদুর্ভাব গঙ্গা বদ্বীপ থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত।  নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এটি শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে ও সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশসহ আটটি উন্নয়নশীল দেশে বছরে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি।

এ অতি প্রাচীন কিন্তু জীবন সংশয়কারী রোগকে প্রতিরোধ করতে বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকার এক লাখ ৩৫ হাজার এলাকাবাসীকে ৪৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কার্যক্রম আগামী ১৭ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।  

টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত এলাকায় মাইকিং করে টিকা কেন্দ্রের অবস্থান সম্পৰ্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন অন্তর এ টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও নিরাপদ। এ টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভি-এর আর্থিক সহায়তায় এ টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।

অত্র এলাকার সবাই কলেরা টিকা নিয়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার প্রয়াসে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আইসিডিডিআর,বি ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য কলেরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ২০১৯-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই ২০২০ ও ২০২২ সালে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লক্ষাধিক ঢাকাবাসীকে কলেরা টিকাদান করা হয়।   

বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।