ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জনবল-যন্ত্রপাতিসহ নানা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

এম রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
জনবল-যন্ত্রপাতিসহ নানা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

ঝিনাইদহ: জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল, যন্ত্রপাতি ও ওষুধসহ নানা সংকটে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষেরা। যন্ত্রপাতি না থাকায় বাড়তি টাকা খরচ করে বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে।

পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগও রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।

এমন পরিস্থিতিতে, হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের পাশাপাশি বিকল হওয়া যন্ত্রপাতি সচল করার দাবি সেবা নিতে আসা রোগী ও স্থানীয়দের।

কোটচাঁদপুর উপজেলার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী মহেশপুর, ঝিনাইদহ সদর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও যশোরে চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সেবা নিতে আসেন রোগীরা। প্রতিদিন গড়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন সাড়ে ৫০০ জন রোগী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ১০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। বিকল হয়ে গেছে এখানকার আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। ধুঁকে ধুঁকে চলছে একমাত্র এক্সরে মেশিনটি। উপায় না পেয়ে বাড়তি টাকা খরচ করে বাইরের ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের।

শুধু কোটচাঁদপুর নয়, একই দশা জেলার অন্যান্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। হাসপাতালগুলোয় নেই পর্যাপ্ত জনবল। ভর্তি রোগীদের সেবা দিতে একবার রাউন্ডে আসেন চিকিৎসক। বড় কোনো সমস্যা হলে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রেফার্ড করা হয় অন্যত্র।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোজিনা খাতুন জানান, হাসপাতালে রয়েছে ওষুধ সংকট। এছাড়া যন্ত্রপাতি না থাকায়, বাড়তি টাকা খরচ করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হচ্ছে বাইরে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে।

বসিরউদ্দীন নামের একজন জানান, বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলেও চিকিৎসকদের তেমন একটা দেখা মেলে না, তাই অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রেফার্ড করা হয় ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যত্র।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিয়া সুলতানা জানান, নানা সমস্যার মধ্যেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ওষুধ সরবরাহ করা হলে আরও ভালো সেবা দিতে পারব বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ঝিনাইদহ জেলার সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা সংকট সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছেন। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ছয়টি উপজেলায় চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১৬৮টি। বর্তমানে হাসপাতাল পদায়ন রয়েছে ৯৭ জন চিকিৎসক। প্রশিক্ষণ ও ছুটিসহ নানা কারণে এর মধ্যেও হাসপাতালে আসেন না অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।