ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গল্প

এই সময়ের গল্প-১০

গিলরয় | ফারাহ্ সাঈদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
 গিলরয় | ফারাহ্  সাঈদ গিলরয় | ফারাহ্ সাঈদ

আয়না খোলা আছে। ডান পাশে কেউ নেই। বায়ে আমি। একা। গাড়িটা সামান্য দুলছে। সামনে  ট্রাক, যে কিনা বিশাল এক টমেটো ক্ষেত তুলে এনেছে। গা খোলা টমেটো। সামান্য একটা জালি-কাপড়ে ঢাকা। কোনো ডাল-পাতা নেই। এক কণা মাটিও নেই ট্রাকে। শুধু টমেটো আর টমেটো। টসটসে! লাল। গাড়িগুলো চলছে। কখনও-বা দুলছে। ধীর লয়ে।

চলছে নয়, বরং  মাঝে মাঝে একটু আধটু নড়ছে। রাস্তায় এভাবে বসে থাকা।

সকালে অফিসে যেতে এই পথটা প্রতিদিন আমি পাড়ি দেই। মিনিট বিশেকের পথ অথচ পুরো এক ঘণ্টা খরচ! দুপুরের ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া ব্লাডি এক ইডিয়ট আমি। ক্ষুধাটা বাড়ছে। সকালের টোস্ট-চা এরই মাঝে হজম। তার উপর ঝা-ঝা রোদ। এখন এই বনেটে রোদের ফ্রাইপ্যানে অনায়েসেই একটা ডিমপোচ করে খেয়ে নিতে পারি! পাশেই এক ডিমভর্তি ভ্যান— ড্রাইভার আমার দিকে আড়চোখে তাকালো। একবার নয় দুবার। আমার ডিমপোচ খাওয়ার ইচ্ছাটা কী তবে সে বুঝতে পেরেছে!

এতো এতো নিতম্বের দিকে তাকিয়ে থাকতে আর ভালো লাগছে না। গোল, চ্যাপ্টা, ভারী। দু-একটা রঙচটাও আছে। যদিও গাড়িগুলো চকচকে। মসৃণ। মনে পড়ে, একসময় শোরুমে গিয়ে ওদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতাম। আহা কী মসৃণ। নেইলপলিশ দেওয়া আঙুলের মতোই শরীর। বরং ওটার থেকেও বেশি মোলায়েম। এ পথে গাড়িরা আজও  সিল্কি, ঠিক আগের মতোই সুন্দরী। কিন্তু আমার চোখে আর সইছে না। টানা তিন বছর। এ পথ! সকাল-বিকেল! ট্রাফিকের ধুম। রেডিও শুনি কিছুক্ষণ। আর কতো! শব্দগুলো পোকার মতো। কী তাদের কিলবিল। মাঝে মাঝে মগজে ঢুকে যায় আমার। এতো কথা বলে মানুষ! এতো কথা! গানগুলোকে কথার ভাঁজে ভেঙে ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে কারা যেনো! ঠিক কবে একটা আস্ত গান শুনেছি রেডিওতে মনে পড়ছে না। পিংক ফ্লয়েডের বাদামিগুড়ো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আমার ক্ষুধার্ত চোখ ডিমভর্তি ভ্যানের পিছু নিচ্ছে! বার বার।

ট্রাফিক জ্যাম! উফ! ওহে গাড়ি, নিতম্ব তোমার হটাও এবার। অপেক্ষা আমার ভালো লাগে না। তার চেয়ে বরং ওকে নিয়ে ভাবি। আমার সুমনা! রাজহাঁসের আদলে যায় নিতম্ব! কবে যে আসবে সুমনা।    নিশ্চয়ই অঘোরে ঘুমাচ্ছে এখন। একটা ফোন করতে পারি দেশে। হাতে ঘণ্টাখানেক সময় আছে। থাক। ওখানে সকাল ফোটেনি এখনও। প্রায় ভাবি। ও এলে এই পথে একসঙ্গে যাবো। আমি আর সুমনা। আমার প্রতিদিনের বিড়বিড়। আমি একলা চলা জীবনের ইতি! আহা! 'তুমি চলে এসো সুমনা, কোনো যৌবনবতী টমেটো-ট্রাকে আমি আর চোখ রাখবো না সুমনা। কসম! কিংবা কোনো ডিমভর্তি ভ্যানের নিতম্বে সুমনা, তুমি চলে এসো। '

অফিসে পৌঁছে সুমনাকে ফোন করি। আজ  এতো প্রফুল্ল শোনাচ্ছে কেনো মেয়েটাকে! খবরটা কালই পেয়েছে ও। কান্নাজড়ানো গলা। ভিসা হয়ে গেছে! আমিও কথা বলতে পারছি না। এতো অপেক্ষা। এতোটা দীর্ঘ। ফোনটা কেটে দেই আমি। অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ি তখনই। আজ আর ফিরবো না। বসের টেবিলে ছোট্ট একটা নোট রেখে, 'বাড়ি যাচ্ছি, কাল দেখা হবে’।

কী করবো বুঝতে পারছি না। বিকেলে দোকান থেকে কী সব কিনে আনি। সুমনার জন্য। আমাদের নতুন সংসারের জন্য।

এই অপেক্ষা ভালো লাগে আমার। সুমনার জন্য। আর মাত্র চারদিন পর। অফিস পথের ট্রাফিক জ্যামটাও খারাপ লাগে না। শুধু ভাবি সুমনা আর আমি এক সঙ্গে পাড়ি দেবো এই পথ। বিকেলে ফিরবো একই পথেই। ওর ইউনিভার্সিটিটাও আমার অফিস যাওয়ার পথেই। ভাগ্যিস সব কাছাকাছি। বাড়ি ফিরেই সুমনাকে ফোন করি। আমাকে কী কী রেঁধে খাওয়াবে জানতে চাইলে ও হেসে বলে, আমি কিচ্ছু পারি না! আমি বলি, শিখে যাবে, আমিও কিছু কিছু পারি, তোমাকে শেখাবো। 'মশলার গন্ধ আমার ভালো লাগে না সজীব!' ওহ, থাক তাহলে, রাঁধতে হবে না! আমরা বাতাস খাবো! আমি হাসি! সুমনাও।

এয়ারপোর্ট থেকে ফিরছি। আমার পাশেই সুমনা। আমার অপেক্ষা শেষের সুমনা। ও গল্প করছে মা, বাবার, আমার ছোট বোনটার, এমনকি আমার ফেলে আসা বইগুলোরও। যত্ন করে ঝেড়ে-মুছে রেখে এসেছে সুমনা। ঘরে ফিরে চাইনিজ খাবারগুলো প্লেটে সাজিয়ে দিয়েছি। সুমনা ক্লান্ত। খেতে পারেনি তেমন। জেটল্যাগ থাকবে কয়েকদিন ওর। দিনে ঘুম ঘুম, রাত জাগা জাগা। আমার তাই হয় দেশ থেকে ফিরলে।

ছুটি শেষ আমার, ওর জন্য দু’দিন বাড়িতেই ছিলাম। বিকেলে বাজারে গেলাম। সুমনা ফল-টল কিনে নিলো। আমি মাছ, মাংস, মশলাপাতি। বোঝা গেলো, সুমনার আগ্রহ নেই রান্নায়। একদম নেই। আমি মুচকি হাসি। মেয়েরা এমনিতেই শিখে যায়, আমি বলতেই সুমনা বলে, 'পারবো না, আমার ভালো লাগে না’। আচ্ছা ঠিক আছে সুমনা, আমি ম্যানেজ করে নেবো। আজ সন্ধ্যা না নামতেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। কাল থেকে অফিস। আমার ভালোই লাগছে। কাল সুমনা যাবে আমার সঙ্গে। আমার পাশের সিটে বসে। ভাবছি শুধু।

সকাল সকাল তৈরি হয়ে গেছে সুমনা। কফিটা ভালোই বানিয়েছে। আমরা বেরিয়েছি সেই পথে। সকালের ট্রাফিক জ্যাম। কিন্তু আমার বোরিং লাগছে না। ফ্রেশ লাগছে ওকে। সুমনার মিষ্টি গন্ধে গাড়িটা ভরে আছে। আমার হাতে ঘড়িটা খুঁটছে। আঙুলও। আমি চাই ও আমার আঙুলগুলো ছুঁয়ে থাকুক। কাল রাতের মতো। রেডিও বন্ধ করে দিই। সুমনা গুন গুন করে। আমার অপেক্ষা শেষের সুমনাকে দেখি। বারবার। সুমনাও। আজ কী একটা মুভি দেখতে যাবে সুমনা? 'হুম, কখন?’ এইতো সাতটার দিকে। 'যাবো। '

 জানালা খোলাই ছিলো। হঠাৎ সুমনা কেমন করে যেনো তাকালো। বাইরের দিকে চোখ। 'সজীব, আমরা কোথায়? আমার ভালো লাগছে না। ' এইতো পৌঁছে যাবো আরও মিনিট বিশেক পর তোমার ইউনিভার্সিটিতে। 'সজীব, জানালা বন্ধ করো, আমার খারাপ লাগছে, কিসের গন্ধ এটা?' আমি ভাবি পেট্রোলের গন্ধ হবে হয়তো। ওর খারাপ লাগছে, এতোগুলো গাড়ি ট্রাফিকে আটকে থাকলে যা হয়! 'সজীব এটা তো রসুনের মতো গন্ধ! ওহ আমার ভালো লাগছে না!' নাক চেপে আছে সুমনা। এটা তো গিলরয়, সুমনা আমরা গিলরয় পার হচ্ছি, এখানে অনেক রসুনের ক্ষেত! গন্ধ তো থাকবেই। সুমনা আরও ভালো করে নাক চেপে ধরে। একটু পর পর নিশ্বাস নিচ্ছে ও! জ্যাম ছুটতে আরও মিনিট দশেক লেগে গেলো। আমরা সুমনার ক্যাম্পাসে পৌঁছে গেলাম। প্রথমদিন। সুমনা কেমন উসকো-খুশকো চুলে ভেতরে গেলো। গন্ধটাতে ওর বোধহয় কষ্ট হয়েছে! অবশ্য আমার এমন হয় না!

অফিস থেকে দু’বার ফোন করলাম। পরের বার মোবাইলটা ধরলো সুমনা। 'সজীব, আমরা কি ওই পথেই বাড়ি ফিরবো?' হ্যাঁ, কেন? 'না কিছু না!' বিকেলে একটু দেরি হলো আমার। সুমনা অপেক্ষা করছিল। ক্লান্ত দেখাচ্ছে ওকে। আমাদের আর মুভি দেখা হলো না সন্ধ্যায়। সুমনার চোখভর্তি ঘুম। গিলরয় আসতেই গাড়িতে নড়ে চড়ে বসলো সে। নাক চেপে পার হলো কয়েক মিনিটের পথ! বাড়ি ফিয়ে সুমনা কিছুই খেলো না। সোফায় বসে টিভি দেখতে দেখতেই ঘুম। আমি রিমোট খুঁজি। টিভি বন্ধ, বাতিটাও। কাপড়টাও পাল্টায়নি। সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছে মেয়েটা। আদুরে বেড়ালের মতো ঘুমিয়ে আছে সুমনা। বিছানায় নিতে গিয়েও থেমে যাই। কপালে হাত রাখি। জ্বর এলো নাকি!

সকালে তৈরি হয়ে বসে আছে। আজ  আমারই দেরি হয়ে গেছে। কফিটা নিয়ে গাড়িতে উঠে বসি। সুমনা মুচকি হেসে বলে, 'আজ সন্ধ্যায় কোথায় যাচ্ছি আমরা?' তুমি যেখানে যেতে চাও, সেখানেই যাবো আমরা, আমি হেসে বলে উঠি। বিশাল এক লরির কাছে এসে গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করি। দু’জনে কথা বলতে বলতে কখন যে গাড়িটার এতো কাছাকাছি চলে এসেছি খেয়াল করিনি। সুমনা আবার নাক চেপে ধরে! আমরা গিলরয় পার হচ্ছি যে! অস্থির হয়ে যাচ্ছে সুমনা। কী যে করি! এই দশ মিনিট কিছুতেই পেরুতে চায় না। বাড়িরা বদলে ফেলতে হবে। এই এলাকায় আর থাকা যাবে না। সুমনাকে তাই বলি আমি। মুখ নিচু করে রাখে। রাতে আর কোথাও যাওয়া হয় না আমাদের। শরীরটা ভালো নেই সুমনার। কালই ওকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। সুমনার অ্যাজমা আছে আমি জানতাম কিন্তু কী হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। রসুনের ক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতেই গন্ধটা ওকে কেমন অস্থির করে ফেলে!

ভোর। কিছুটা শীতের আমেজ। তৈরি হচ্ছে সুমনা। আয়নাতে মুখ ফেরানো। লালে খুব মানায়। স্লিভলেস টপসে ভালো লাগছে খুব। পিঠে চুমু খেতে খেতে ভাবি আজ অফিস না গেলে কী হয়! সুমনাকে বলি। ওর ক্লাস মিস করা যাবে না! আচ্ছা দেরি করে যাই! না। ধুর মেয়েটা কোনো কথাই শুনলো না। ব্লেজারটা পরে নিয়ে বলে 'চলো যাই! নতুন ক্লাস মিস করা যাবে না সজীব’।

কাল শনিবার। অনেক কাজ। লন্ড্রিটাও করতে হবে। আমার আর সুমনার কাপড়ের স্তুপ রেখে আমরা বেরিয়ে যাই। এতোটা ট্রাফিক জ্যাম! আজ আবার কী হলো! আশে পাশে কোথাও বড় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে কী! নাকি রোড অ্যাক্সিডেন্ট! সুমনা ব্যাগ থেকে পারফিউম বের করে হাতে রাখে। গিলরয়ের জন্যে প্রস্তুতি হয়তো। বসে আছি গাড়িগুলো নড়ছে না তেমন। অফিসে ফোন করে বলি, আজকে দেরি হবে, হয়তো তিরিশ মিনিট বা আরও বেশি। সুমনাও ওর ক্লাসমেটকে ফোন করে। ক্লাসটা মিস হবে ভেবে আফসোস করে। থেমে থেমে গাড়ি চলে। আমরা গাড়ির নিতম্বের দিকে তাকিয়ে আছি। গোল, চ্যাপ্টা, ভারী। আর রাজহাঁস-নিতম্ব নিয়ে ঠায় বসে আছে সুমনা! ওকে বলি, 'বলোতো কেন আজ  বেরুলাম, ঘরেইতো ভালো ছিলাম! তোমার জন্যে এই জ্যামে বসে থাকা। সুমনা হাসে, 'আমি কি জানতাম’! খানিকটা কাছে এসে চুমু খায়। কপালে। চুলের গন্ধ নিতে আমি আরও  এগিয়ে যাই। পাশেই ট্রাক। সুমনার পাশঘেঁষে গা খোলা টমেটোর ট্রাক। মসৃণ। আমিও মিশে থাকি ওর পিঠে, বুকে। এতোটা লাল। এতোটাই লাল! গা খোলা টমেটোর ট্রাক। সুমনা তুমিও লাল! জাপটে ধরে আছি। এভাবেই। বুকে-পিঠে।

গাড়িগুলো খুড়িযে খু্ড়িয়ে হাটে। উফ এ কিসের মাঝে আটকে গেছি আজ ! সুমনার মুখ ফ্যাকাসে হতে থাকে। বুঝতে পারি গিলরয় এসে গেছে। হাতের পারফিউমটা খুলে স্প্রে করে সুমনা। আমি গাড়ির গ্লাস বন্ধ করে দেই। এসি চলছে। দু-তিন মিনিট যেতেই ঘেমে উঠছে সুমনা। এ কী! 'গাড়ি খোলো, গ্লাস খোলো সজীব!' আমি খুলে দিই সব। সুমনা এই এই হিম হিম শীতের সকালে ঘেমে যাচ্ছে শুধু। রসুনের গন্ধটা বাড়ছে। আরও আরও। সুমনা আকাশের দিকে স্প্রে ছুড়ে দেয়। নাক চেপে ধরে। 'সজীব আমাকে নিয়ে চলো এখান থেকে, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না!' গাড়িগুলো ঠায় বসে আছে! সুমনা ব্লেজার খুলে ফেলে। স্কার্ফটাও। আমার অসহায় লাগছে। আজ  বিকেলেই ওকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কথা ছিলো। সুমনা গাড়ির হর্ন চেপে বসে আছে। সুমনা থেমে নেই। কাঁদছে! এই হাইওয়েতে কোথায় নিয়ে যাবো সুমনাকে? চিৎকার করছে সে, আমিও! সুমনা গাড়ির দরজা খুলে ফেলে হঠাৎ। রাস্তায় নেমে পড়ে! সুমনা কোথায় যাও? সুমনা থামো! আমিও পিছু নিই! গাড়ি ফেলে দৌড়ে বেরিয়ে যায় সে। আমিও! দিকশূন্য হয়ে ঘুরছে গাড়ির ফাঁকে ফাঁকে! হর্ন দিচ্ছে কেউ কেউ। একজন নেমে এসে ওকে থামাতে চেষ্টা করে। সুমনাকে হারিয়ে ফেলি! কোথাও দেখতে পাই না। তারপর হঠাৎ একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দেয় আমাকে। আমার আর কিছু মনে নেই।

অনেক ভোর। নাকি সন্ধ্যা? কদিন হলো মনে নেই। ঘরে ক্যালেন্ডার দেখছি না। ফোনটা বাজছে। হাঁটতে পারছি না। ধরার মতো শক্তিও নেই। বাড়ির ফোনে মেসেজ রাখছে কেউ। ওহ পুলিশ!  পুলিশ কোথাও খুঁজে পায়নি! বাথরুমে যাচ্ছি। ব্যথা লাগে। ডান পায়ে সেলাই আছে। সুমনার কাপড়ের স্তুপগুলো হাতড়ে দেখি। আমাদের আদরের আগে ও পরের জামাগুলো কুণ্ডলি পাকিয়ে শুয়ে আছে। লন্ড্রিরুমের চাবি খুঁজছি। দেরাজে। কাপড়গুলো শুঁকে দেখি। বার বার। আদরের দাগ খুঁজতে তন্ন তন্ন করি সুমনার নাইটি, ব্রা, পায়জামা! কোথাও কী রসুনের গন্ধ লেগে আছে! শাদা শাদা ঘ্রাণ! গিলরয়ে ছিটকে পড়া সুমনাকে ডাকতে আমি রসুন-ক্ষেতের আইল ধরে লন্ডিরুমের দিকেই যাচ্ছি এখন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এসএনএস

ঘর | নুসরাত নীলা

প্রেম-অপ্রেমের কাব্য | নাহিদা নাহিদ
জীবনের ছুটি নেই । জব্বার আল নাঈম
বোবা সুখ | নাদিরা মুসতারী

খুচরো আলাপ | কিঙ্কর আহ্‌সান
 যেভাবে এহসানের ট্রেন বিষয়ক গল্পে ঢুকে পড়ি | এনামুল রেজা
যেভাবে অনিকেতের মৃত্যু হয়েছিল | আবু উবায়দাহ তামিম
 আদিম | আবদুল্লাহ আল ইমরান
টান । আকাশ মামুন
এই সময়ের এক কুড়ি গল্প পড়ুন বাংলানিউজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গল্প এর সর্বশেষ